সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতা এইচ বি এম ইকবালের স্ত্রী মমতাজ বেগম, তাদের দুই ছেলে ও মেয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাদের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।ঢাকার এক নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আতাউর রহমান বুধবার শুনানি করে এই আদেশ দেন।

সাবেক সাংসদ ইকবাল ও তার স্ত্রী-ছেলেমেয়েকে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুদকের মামলায় সাজা দিয়েছিল জজ আদালত। হাই কোর্ট পরে ইকবালকে খালাস দেয় এবং স্ত্রী-সন্তানদের রায় স্থগিত করে।কিন্তু আপিল বিভাগ গতবছর ইকবালের স্ত্রী-সন্তানদের আবেদন খারিজ করে দিলে ওই চারজনের সাজার বাধা কাটে।এর চার মাস পর বুধবার জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন ইকবালের স্ত্রী মমতাজ বেগম ডলি, ছেলে মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল ও মঈন ইকবাল এবং মেয়ে নওরীন ইকবাল।শুনানি শেষে বিচারক জামিন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে আসামিদের আইনজীবী প্রাণনাথ জানান।এ মামলায় হাই কোর্ট থেকে খালাস পান আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল
এ মামলায় হাই কোর্ট থেকে খালাস পান আওয়ামী লীগ নেতা ইকবালএইচ বি এম ইকবাল প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তার ছেলে ইমরান ইকবাল ওই ব্যাংকের একজন পরিচালক। আরেক ছেলে মঈন ইকবাল ও মেয়ে নওরীন ইকবালও একসময় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন।বিগত সেনা নিয়ন্ত্রত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৭ মে ইকবাল, তার স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যাবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক।পরের বছর ১১ মার্চ বিশেষ জজ আদালত এ মামলার রায়ে ইকবালকে ১৩ বছরের কারাদ- এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে। তার স্ত্রী ও সন্তানদের তিন বছর করে কারাদ- এবং ১ লাখ টাকা করে অর্থদ- দেয়।ওই বছর ১৭ সেপ্টেম্বর ইকবালের ভাইয়ের আবেদনে হাই কোর্ট এ মামলায় জজ আদালতের দেওয়া রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে। ওই সাজা কেন বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।জরুরি অবস্থার সময় জারি করা বহু মামলা ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ বিবেচনায় বা অন্য কারণে বাতিল বা খারিজ হয়ে যায়। ইকবালের আবেদনে ২০১১ সালের ১৮ জানুয়ারি হাই কোর্ট তাকে এ মামলা থেকে খালাস দেয়।