নার্গিস পারভিন টুনি। তিনি বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রথম মহিলা (টিটিই) টিকেট এগজামিনার। ট্রেন যাত্রীদের মাঝে হয়ে উঠেছেন তিনি জনপ্রিয় আর নারীদের জন্য অনুপ্রেরনার প্রতিক। লালমনিরহাট রেলবিভাগে চলাচলকারী বিভিন্ন আন্ত:নগর ও মেইল ট্রেনে তাকে কর্মচঞ্চল ভাবে কাজ করতে দেখা যায়।

পুরুষ যাত্রীদের ভিড়েও তাকে দেখা যায় কর্মঠ এক রেল কর্মচারী। কোন প্রকার জড়তা ছাড়াই তিনি কাজ করেন আনন্দের সাথে। রেলওয়েতে একমাত্র নারী টিটিই কে কাজ করতে দেখে ট্রেন যাত্রীরা বিস্মিত ও আনন্দিত। ট্রেন যাত্রীদের মাঝে তিনি খুবই জনপ্রিয়। নারীদের কাছে আদর্শ আর অনুপ্রেরনার প্রতিক। তাকে দেখে অনেক নারীই এই পেশায় চাকরী করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

৫৪ বছর বয়সী এই নারীর কর্মদক্ষতায় পড়েনি কোন বয়সের ছাপ। ট্রেনের এক কামড়া থেকে অন্য কামড়ায় চষে বেড়ান টিকেট দেখার জন্য। সদালাপি আর সদাচরনের মাধ্যমে টিকেট দেখেন যাত্রীদের কাছে। আর ট্রেনে যাত্রীদের একটু ভিড় কম থাকলে দেশের গান শুনিয়ে দেন যাত্রীদের। তার সুরালা কণ্ঠের গান যাত্রীদের অভিভুত করে আর যাত্রীরাও উদ্বুদ্ধ হন টিকেট কেটে ট্রেনে চড়তে।

৩২ বছর ধরে তিনি রেলওয়ে চাকুরী করছেন। শুরুতে তিনি দীর্ঘদিন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি লালমনিরহাট রেল বিভাগের বিভিন্ন ট্রেনে টিকেট এগজামিনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হাজারো পুরুষ যাত্রীর মাঝে কাজ করতে বড় কোন সমস্যায় না পড়লেও মাঝে মাঝে বিনা টিকেটে ভ্রমনকারী যাত্রীদের সাথে তাকে কথা কাটাকাটি করতে দেখা যায়। কর্মজীবনে সফল এই নারী সংসার জীবনেও সফল। এর পাশাপাশি তার রয়েছে বড় মাপের সাহিত্য জীবন।

মোঃ ইউনুস আলী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি