ভূমি বিরোধ আইন বাতিল এবং বাঙালি পার্বত্য কোটা চালুসহ আট দফা দাবিতে তিন পার্বত্য জেলায় বসবাস করা বাঙালিদের দুই সংগঠনের ডাকে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বন্ধ দেখা গেছে দোকানপাট।রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও নিয়োগে পার্বত্য বাঙালি কোটা চালু ও পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন সংশোধনী আইন বাতিলসহিআট দফা দাবিতে বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য বাঙালি ঐক্য পরিষদ এ হরতাল ডাকে।
রাঙামাটি পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানান, সকালে রাঙামাটি শহর থেকে দুরপাল্লার কোনো যান ছেড়ে যায়নি। অভ্যন্তরীণ সড়কের যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। নৌপথেও কোনো যাত্রীবাহী নৌযান ছেড়ে যায়নি। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে বলে জাহাঙ্গীর জানান।রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ওসি মুহাম্মদ রশিদ জানান, হরতালের সমর্থনে কয়কটি স্থানে পিকেটিং হলেও কোনো গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি।আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় শহরে গুরুত্বপূর্ণস্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, সকাল থেকে জেলা থেকে দূরপাল্লা যানবাহন ছেড়ে যায়নি। অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও চলেনি যানবাহন। কেবল শহরের ভেতরে চলছে অটোরিকশার মত ছোট যান।
এছাড়া বাসটার্মিনাল কাউন্টার এবং শহরের বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। তবে হরতালের সমর্থনে কোথাও পিকেটিং হয়নি।জেলার পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের সভাপতি আবদুল কায়ুম বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালি স্বার্থ বিরোধী কোন সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হবে না।অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে হরতাল কর্মসূচি তারা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করছে বলে জানান কায়ুম।বান্দরবান পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, হরতালে জেলার কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।