নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জিজ্ঞসাবাদের জন্য তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।ঢাকার মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস রোববার পুলিশের সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে তিন দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন।আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকতা এস আই মিজানুর রহমান জানান, মিজানের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানিতে ছিলেন না।গত ২৮ ফেব্র“য়ারি রাতে ঢাকার বনানীতে কাকলী রেল ক্রসিংয়ের কাছাকাছি একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মিজানকে। পরে তাকে দারুস সালাম থানার সন্ত্রাসবিরোধ আইনের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গত বছরের ২ নভেম্বর ঢাকার দারুস সালাম এলাকার এক বাড়ি থেকে ৮৮৭টি ডেটোনেটর, পিস্তল ও গ্রেনেড উদ্ধারের পর এই মামলা করে পুলিশ। মামলার এজাহরে মিজানুরের নাম ছিল অস্ত্র সরবরাহকারী হিসাবে।পুলিশ বলছে, মিজান আগে জুনুদ আল তাওহীদ নামে একটি জঙ্গি সংগঠনের প্রধান সামরিক কমান্ডার ছিলেন। পরে তামিম চৌধুরীর মাধ্যমে তিনি নব্য জেএমবিতে যোগ দেন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী শিবগঞ্জ এলাকায় অস্ত্র চোরাচালানের একটি চক্র গড়ে তোলেন। নব্য জেএমবির প্রায় সকল অস্ত্র, ডেটোনেটর ও জেল ওই চক্রই সরবরাহ করে আসছিল।মিজানকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. ছানোয়ার হোসেন বলেছিলেন, হলি আর্টিজান হামলায় ব্যবহার করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ মিজানই সরবরাহ করেন। পরে সেগুলো বসুন্ধরায় তানভীর কাদেরীর বাসায় তামিম চৌধুরীর কাছে পৌঁছানো হয়।

গত বছরের ১ জুলাই রাতে অস্ত্র-বিস্ফোরক নিয়ে কূটনীতিকপাড়া গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় নব্য জেএমবির জঙ্গিরা। তাদের ঠেকাতে নিয়ে বেকারি থেকে ছোড়া গ্রেনেডে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।পরদিন ভোরে কমান্ডো অভিযান শেষে বেকারির ভেতর থেকে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নিহত হন হলি আর্টিজানের পাচক সাইফুল ইসলাম ও পাঁচ জঙ্গি। উদ্ধার করা হয় একটি একে-২২ রাইফেল ও বিস্ফোরকসহ বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র।এ হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেড তৈরির কাঁচামাল ও অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে এর আগে গত ৩ নভেম্বর জেএমবির চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ।