ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারনা, জনসংযোগ ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে জমে উঠেছে জেলার গৌরনদী উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচন। নির্বাচনী প্রতীক নৌকা ও ধানের শীষের লড়াইয়ে এখন নির্বাচনী জ্বরে কাঁপছে গোটা উপজেলা। আগামী ৬ মার্চ এ উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।বুধবার সকালে উপজেলার বাটাজোর, দুপুরে মাহিলাড়া ও বিকেলে সরিকল ইউনিয়নে এবং মঙ্গলবার বিকেলে গৌরনদী বন্দর ও বাসষ্ট্যান্ডে ব্যাপক জনসংযোগ করেছে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মনজুর হোসেন মিলন। এসময় তার সাথে দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। গৌরনদী বন্দরে পৌর বিএনপির সভাপতি এস.এস মনির-উজ-জামান মনিরের সভাপতিত্বে পৌর বিএনপির নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
অপরদিকে বুধবার সকালে সরিকল ও বিকেলে বাটাজোর ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রার্থী সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরীর সমর্থনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবর মোল্লার নেতৃত্বে ব্যাপক জনসংযোগ করেছেন শতাধিক মুক্তিযোদ্ধারা। বুধবার চাঁদশী বিকেলে চাঁদশীতে নৌকার সমর্থনে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচনী উঠান বৈঠক। বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সেরনিয়াবাত আশিক আব্দুল্লাহ। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও গৌরনদী পৌর মেয়র মোঃ হারিছুর রহমান। বক্তারা আগামী ৬ মার্চ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার মাধ্যমে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ভোটারদের প্রতি আহবান করেন।
বিএনপির প্রার্থী মনজুর হোসেন মিলন অভিযোগ করেন, দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রচারনা চালাতে গিয়ে তার একাধিক কর্মী প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার স্বীকার হয়েছেন। এরইমধ্যে মঙ্গলবার বরিশালে নির্বাচনী মতবিনিময় সভা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। নির্বাচনে নির্বিঘেœ সকল দলের অংশগ্রহণ নিয়ে তার আশ্বাসের ভিত্তিত্বে ওইদিন বিকেল থেকে তিনি প্রকাশ্যে জনসংযোগে নেমেছেন। মিলন আরও বলেন, আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত আমি ও আমার সমর্থকেরা নির্বাচনী মাঠে থাকতে পারলে ধানের শীষের শতভাগ বিজয় অর্জন করা সম্ভব হবে।আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থীর মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ করে বলেন, আগামী ৬ মার্চ ভোটাররা যাকে খুশি তাকে ভোট দিবেন। তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, তারা আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করে জনগণের কাছ থেকে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগনের বিপুল ভোটের মাধ্যমেই নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত হবে।সূত্রমতে, গত বছরের ১৯ ফেব্র“য়ারী গৌরনদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহে আলম খানের মৃত্যুতে পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এ উপজেলায় সর্বমোট ১ লাখ ৪১ হাজার ২৯৬ জন ভোটার রয়েছে।