আট বছর আগে পিলখানায় হত্যাকান্ডের শিকার সেনা কর্মকর্তাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের স্মরণ করেছে বিএনপি।বিডিআর বিদ্রোহের নেপথ্যের কারণ উল্লেখ করে এ ঘটনার শ্বেতপত্র জাতির কাছে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।শনিবার (২৫ ফেব্র“য়ারি) রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে বিডিআর বিদ্রোহে নিহতদের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানায় বিএনপির প্রতিনিধি দল। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ দাবি জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান। শনিবার সকালে স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল বনানী কবরস্থানে গিয়ে পিলখানায় নিহতদের কবরে শ্রদ্ধা জানায়।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্র“য়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদরদপ্তরে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে তৎকালীন বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদও ছিলেন।রক্তাক্ত ওই ঘটনার পর সীমান্তরক্ষা বাহিনীটির নাম বদলে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সেনা কর্মকর্তা নিহতের এ ঘটনাকে দেশের জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায় অ্যাখ্যা দিয়ে বিএনপি নেতা মাহবুব এ বিষয়ে সরকার লুকোচুরি করছে বলেও অভিযোগ করেন।পিলখানার নির্মম ঘটনা বিষয়ে দুইটি তদন্ত কমিটি হয়েছিল, সেগুলোর প্রতিবেদন জনসমক্ষে শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশের দাবি আমরা করেছিলাম, কিন্তু সরকার তা করেনি।বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ওই ঘটনার শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে বলে প্রতিশ্র“তি দেন তিনি।তিনি বলেন, এই দিনে ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক জঘন্যতম হত্যাকা- ঘটে। হত্যাকা- এতোটাই নির্মম যা দেশের ইতিহাসে এমনকি পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়টি নেই। হত্যাকা-ের দুইদিনে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার তরতাজা প্রাণ ঝরে যায়।
তিনি আরও বলেন, এ হত্যাকান্ডের বিচারকার্য চলছে, কিন্তু বলতে কষ্ট হচ্ছে আট বছরেও এ বিচার কাজ শেষ হয়নি। এমন হত্যাকান্ডে বিচারকাজে দেরি হওয়া বিচার ব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর।এতো বড় একটা ঘটনার রহস্য এখনো উন্মোচিত হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ হত্যাকান্ডের নেপথ্যের নাম, পরিকল্পনাকারী ও অর্থের যোগানদাতাদের সম্পর্কে নিহতদের পরিবার, জাতি ও বিশ্ববাসী জানতে চায়। তাই আমরা চাই এ ঘটনায় সরকার জাতির সামনে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক।বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এ ঘটনার শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা প্রকাশ করব। কিন্তু এ সরকার কেন প্রকাশ করবে না? শীঘ্রই এটি জাতির সামনে পরিষ্কার করা উচিৎ।বিচার তড়িৎগতিতে সম্পন্ন করে দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা কার্যকরের দাবিও জানান বিএনপির এ নেতা। বিএনপি নেতা রুহুল আলম চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. হানিফসহ দলটির নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।