বিএনপি-জামায়াতকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।কানাডার আদালতের একটি রায়ের প্রেক্ষাপটে শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুকে দেয়া পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে সহিংসতার উদাহরণ টেনে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ৪০ বছর পরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার আগুনবোমা নিক্ষেপকারীদেরও অবশ্যই বিচারের আওতায় আনবে।তিনি বলেন, যেসব বিএনপি কর্মী ও নেতারা এসব আক্রমণ করেছে; যারা এতে অর্থ বিনিয়োগ করেছে এবং যারা এসব হামলা অনুমোদন দিয়েছে সবাইকে যতদিনই লাগুক না কেন শাস্তি তাদের পেতেই হবে। ফেসবুকে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পোস্টটি হুবহু তুলে দেয়া হল:

আপনারা সবাই জানেন যে, কানাডার একটি আদালত বিএনপি’কে সন্ত্রাসী দল হিসেবে অভিহিত করেছে। ২০১৩-২০১৫’তে বিএনপির আগুনবোমা সন্ত্রাসের সময় হাসপাতালের একটি বার্ন ইউনিট দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের দেখে আমি আঁতকে উঠেছি। এই ভয়াবহ দৃশ্য ছিল অকল্পনীয়। এই আগুনবোমা রাজনীতি হতে পারে না; এটা ছিল স্পষ্টই সন্ত্রাসবাদ।

অতীতে রাজনৈতিক সহিংসতায় আমাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখেছি। সেটা পুলিশ কিংবা সরকারী দলের কর্মীদের সাথে আমাদের কর্মীদের প্রতিরোধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র জামায়াত-বিএনপি এই দুই দলই বেসামরিক জনগণকে লক্ষ করে সন্ত্রাস করলো।প্রথমটি হল জামায়াত-ই-ইসলাম, এদের সাথে ছিল আল-বদর, আল-শামস, ইত্যাদি বেসামরিক সেনাবাহিনী, যারা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বেসামরিক নাগরিকদের নির্যাতন এবং হত্যা করেছিল। দ্বিতীয়টি হল বিএনপি, যারা বিগত নির্বাচনের সময় বাস, ট্রেন ও গাড়িতে আগুনবোমা নিক্ষেপ করেছিল। এখানে কোন সন্দেহই নেই যে, বিএনপি ও জামায়াত একে অপরের সঙ্গী।যখনই কেউ বেসামরিক নাগরিকদের উপরে হামলা চালায়, তখন সে সংগঠন রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দাবি করার অধিকার হারায়-উভয়েই সন্ত্রাসী সংগঠন।যেভাবে আমরা ৪০ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় এনেছি, আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার এই আগুনবোমা নিক্ষেপকারী অপরাধীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনবে।যেসব বিএনপি কর্মী ও নেতারা এসব আক্রমণ করেছে; যারা এতে অর্থ বিনিয়োগ করেছে এবং যারা এসব হামলা অনুমোদন দিয়েছে সবাইকে যতদিনই লাগুক না কেন শাস্তি তাদের পেতেই হবে।