পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক বলেছেন, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকান্ডে জড়িতরা খুব শিগগিরই গ্রেফতার হতে পারে।তিনি জানান, ইতোমধ্যে পুলিশ এই হত্যাকান্ডে জড়িতদের শনাক্ত করেছে।

সোমবার সকালে তিনি সাভারের আশুলিয়ায় শ্রীপুর শিল্প পুলিশ ১-এর বহুতল ব্যারাক ভবন ও অস্ত্রাগার ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।আইজিপি বলেন, সংসদ সদস্য লিটন হত্যাকান্ডের তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। ঘটনার দিন যে তিনজন ব্যক্তি মোটর সাইকেলযোগে তার বাড়িতে এসেছিলো তারা পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।ইতোমধ্যেই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশপ্রধান বলেন, খুনিদেরকে খুব শিগগিরই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।তিনি বলেন, পুলিশের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পুলিশের যথেষ্ট সাফল্য রয়েছে বলেও জানান তিনি।গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য লিটন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর শাহাবাজ গ্রামের নিজ বাড়িতে গুলিতে মারা যান।মহাপরিদর্শক শহিদুল বলেন, ইতোমধ্যেই এমপি লিটন হত্যার দেড় মাস গড়িয়ে গেছে। আমি ঘটনার পরপরই সেখানে গিয়েছিলাম। হাজার হাজার মানুষের সামনে ওয়াদা করেছি, খুনিদের আমরা বের করব। সেই লক্ষ্যে তদন্তের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে।

যে মোটরসাইকেল নিয়ে তিনজন হত্যাকা-ে অংশ নেয় সেই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই তিন ব্যক্তিও পুলিশের নজরদারিতে আছে। যেকোনো সময় তারা গ্রেপ্তার হতে পারে। গ্রেপ্তারের পরই গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হবে।ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করলেই কে হত্যা পরিকল্পনা করেছিল আর কারা অংশ নিয়েছিল সেসব জানা যাবে বলে দাবি করেন মহাপরিদর্শক।এর আগে একেএম শহীদুল হক নারী পুলিশ সদস্যদের প্রথম ওরিয়েন্টশন কোর্স সমাপনীর কুচকাওয়াজ ও সালাম পরিদর্শন করেন।অনুষ্ঠানে শিল্প পুলিশের ডিআইজি আব্দুস সালাম, শিল্প পুলিশ ১-এর পরিচালক মোস্তাফিজারসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।