অবসরের ঘোষণা তিনি আগেও দিয়েছেন। তবে কখনও নিজের ভাবনা বদলেছে, কখনও ‘পরিবার ও বন্ধুদের প্রবল চাপে বদলে গেছে সেই সিদ্ধান্ত। এবার আরও একবার অবসরের কথা জানালেন শহিদ আফ্রিদি। রোববার রাতে পাকিস্তান সুপার লিগে করাচি কিংসের বিপক্ষে পেশোয়ার জালমির ম্যাচের পর আফ্রিদি জানান, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর খেলবেন না। গত ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির পর থেকে অবশ্য এমনিতেই দলে নেওয়া হচ্ছে না তাকে। অবসর না নিলেও আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাকে নেওয়ার সম্ভাবনা ছিল সামান্যই।২০১০ সালের পর আর টেস্ট খেলা হয়নি আফ্রিদির। ২০১৫ বিশ্বকাপ শেষে বিদায় জানান ওয়ানডে ক্রিকেটকেও। সেই সময় বলেছিলেন, ২০১৬ ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি শেষে ছেড়ে দেবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব সংস্করণই। কিন্তু টুর্নামেন্টের আগে জানান, পরিবার ও বন্ধুরা তাকে প্রবল চাপ দিচ্ছে অবসর না নিতে।
টুর্নামেন্টের পর নেতত্ব ছাড়লেও অবসর নেননি। কিন্তু পাকিস্তান দলও আর বিবেচনা করেনি তাকে। সেই সময়ের কোচ ওয়াকার ইউনিস আনুষ্ঠানিক রিপোর্টে বলেছিলেন, অধিনায়ক আফ্রিদি কি বলতে বা বোঝাতে চাইছেন, এটা নিয়ে দ্বিধায় থাকত ক্রিকেটাররা।ম্যানেজার ইন্তিখাব আলম তার প্রতিবেদনে লিখেছিলেন, আফ্রিদি একদমই দিশাহীন একজন অধিনায়ক।তার ও দলের পারফরম্যান্স ও কোচ-ম্যানেজারের প্রতিবেদন মিলিয়ে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়, আফ্রিদিকে আর নেওয়া হবে না। মাঝে বার দুয়েক আলোচনা হয়েছিল একটি ম্যাচে সুযোগ দিয়ে তাকে মাঠ থেকে বিদায় জানানোর। শেষ পর্যন্ত হয়নি সেটিও।
করাচির বিপক্ষে ম্যাচের পর আফ্রিদির কথায় স্পষ্ট হলো, মাঠ থেকে বিদায় নেওয়া আর হচ্ছেই না তার।আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আমি বিদায় বলে দিয়েছি। এখন আমি খেলছি ভক্তদের জন্য এবং এবং এই লিগ আরও বছর দুয়েক খেলতে চাই। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছি।২০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ২৭ টেস্ট, ৩৯৮টি ওয়ানডে ও ৯৮ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন আগামী ১ মার্চ বয়স ৩৭ বছর পূর্ণ হতে যাওয়া আফ্রিদি।