হবু সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে দলীয় আনুগত্যের সাবেক আমলা আখ্যায়িত করে বিএনপির নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতেই তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়। কর্মসূচিতে দলের উপদেষ্টা কাউন্সিলের এ সদস্য বলেন, কে এম নূরুল হুদা সাহেব একজন খাঁটি আওয়ামী লীগার, জনতার মঞ্চের খাঁটি লোক। তিনি বরিশাল ও ভোলার তখনকার নির্বাচন পরিচালনাকারীর অন্যতম সদস্য ছিলেন।আমাদের কাছে এটা স্পষ্ট, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আরেক নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যেই আপনাকে (নূরুল হুদা) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের পর গঠিত সার্চ কমিটির সুপারিশ করা ১০ জনের তালিকা থেকে পাঁচজনকে নিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে এ কমিশন বুধবার দায়িত্ব নেওয়ার পর তাদের অধীনেই হবে ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।নবম সংসদের বিরোধী দলের প্রধান হুইপ বিএনপি নেতা ফারুক হবু সিইসি নূরুল হুদাকে আওয়ামী নির্বাচন কমিশনার আখ্যায়িত করেন।

তিনি বলেন, দুই বছর বাকি আছে আপনাদের (সরকার) ভাষায়। এই দুই বছরই আপনাকে (নূরুল হুদা) কীভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে, সরকার সে বিষয়ে ট্রেনিং দেওয়া শুরু করবেন। সে কারণেই মহামান্য রাষ্ট্রপতি বেছে বেছে আওয়ামী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছে।প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, দেশনেত্রী গতবছর নভেম্বর মাসে দেশবাসীর কাছে জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনকালীন সময়ে একটি সহায়ক সরকার প্রয়োজন। সেই সহায়ক সরকার যদি সঠিকভাবে আপনি মেনে নেন, তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি বিশ্বাস করব, আপনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক, আপনি গণতন্ত্রের পক্ষের লোক।

আপনার সকল কার্য্ক্রম আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে, তার অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না, হবেও না। তাই যে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব দেশনেত্রী করেছেন, সেই বিষয়ে আলোচনার দ্বার উন্মোচন করুন।ফারুক বলেন, অনুগ্রহ করে খালি মাঠে গোল দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। বল আপনার কোর্টে। আপনি কী প্রতিপক্ষ চান? যদি খেলায় প্রতিপক্ষ চান, যদি খেলতে চান, যদি বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে চান, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদেরকে নির্বাচনে আসার সুযোগটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করে দেন।

২০১৪ সালের মতো বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, একটি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করার জন্য, সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত করলেই সকল দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে।

তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী সদস্য রফিক শিকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের লিটন মাহমুদ, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুর রহমান খান, কল্যাণ পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহিদুর রহমান তামান্না বক্তব্য রাখেন।