শ্রমিকদের আবাসনসহ সব ধরনের সুবিধা ছাড়া হাজারিবাগ থেকে কোনো চামড়া কারখানা সাভারে স্থানান্তর করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। চামড়া শিল্প মালিক আর সরকারের দেন-দরবারের মধ্যে পড়ে শ্রমিকদের ভবিষ্যত শেষ হয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তারা।সাভারে কারখানা স্থানান্তরের পর কোনো কোনো মালিক স্থানীয় শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করে ট্যানারি ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকার ও মালিক পক্ষ উভয়েই শ্রমিকদের স্বার্থ উপেক্ষা করছে।
তিনি আরো বলেন, হাজারীবাগ থেকে কারখানা সাভারে চলে গেলে শ্রমিকদের জীবিকা নির্বাহের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ নতুন শিল্প এলাকায় শ্রমিকদের থাকার কোনো সুবিধাই রাখা হয়নিএরইমধ্যে চামড়া কারখানা সাভারে স্থানান্তরের বিষয়টি নিয়ে শ্রমিকরা আন্দোলনও শুরু করেছে। মালিকদের কাছে আবাসনসহ নানা সুবিধার দাবি জানিয়েছে শ্রমিকদের সংগঠন।আর এক তৃতীয়াংশ কারখানা স্থানান্তর হলেও মালিক কিংবা সরকার কোনো পক্ষই তাদের স্বার্থ আমলে নেয়নি। তাই বাকি কারখানা সরিয়ে নেয়ার আগে দাবি মেনে নেয়ার তাগিদ তাদের।
এদিকে, প্রায় দুইশো কারখানার মধ্যে ৪৫টি কারখানা নতুন শিল্প এলাকায় স্থানান্তর হয়ে গেছে। বাকিগুলোও জুনের মধ্যেই সরিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।শ্রমিকদের অভিযোগ যথাযথ উল্লেখ করে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহিন আহমেদ বলেন, তারা দায় চাপাচ্ছেন সরকারের ওপরে।উল্লেখ্য, রাজধানীর হাজারীবাগে চামড়া শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক। তাদের অধিকাংশেরই এ পেশায় আসা উত্তরাধিকার সূত্রে। কারখানাকে কেন্দ্র করেই তাদের জীবন-যাপন, বসবাস।
২০০৩ সালে সাভারের হেমায়েতপুরের হরিণধরায়, বংশী নদীর পাশে প্রায় ২০০ একর জমিতে বিসিকের উদ্যোগে চামড়া শিল্প নগরী প্রতিষ্ঠা করা হয়। তবে নতুন চামড়া শিল্প এলাকায় কারখানা স্থানান্তরের বিষয়টি তাদের জন্যই সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।