সাংবাদিক শিমুল হত্যার ঘটনায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমুল হক মিরুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাদপুর থানার পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, মিরুকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।

আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে বৃহস্পতিবার গুলিবিদ্ধ হন সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তার মৃত্যু হয়। মিরুর শটগান থেকে গুলি করা হয় বলে পুলিশের পক্ষে বক্তব্য আসে।ঘটনার পর নিহত শিমুলের স্ত্রী এক হত্যামামলায় মিরুসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করেন। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয় আরও ২০-২৫ জনকে।পরিদর্শক মনিরুল বলেন, রোববার রাতে মিরুকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সিরাজগঞ্জের পুলিশ। সোমবার মিরুকে সিরাজগঞ্জের বিচারিক হাকিম আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরপর পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয় জানিয়ে পরিদর্শক মনিরুল বলেন,প্রয়োজনীয় কাগজড়ত্র নথিবদ্ধ করা হচ্ছে।মিরুকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করা হবে।এদিকে মেয়র মিরুকে আদালতে তোলার খবর শুনে বিপুলসংখ্যক লোক আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় করে। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।গত বৃহস্পতিবার শাহজাদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মারধর করার অভিযোগ থেকে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের শুরু। পরে আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ মেয়র মিরুর বাড়ি ঘেরাও করে।শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশ সেখানে যথাসময়ে উপস্থিত হয়েছিল বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত বলেছিলেন। তার দাবি, তিনি মেয়রকে বারবার বারণ করার পরও মেয়র গুলি ছোড়েন।এ সময় একটি গুলি সাংবাদিক শিমুলের চোখ দিয়ে মাথার ভেতর ঢুকে যায় বলে চিকিৎসক জানান।এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে আটক করেছে পুলিশ; জব্দ করেছে মেয়রের শটগান।এছাড়া মেয়রকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।