সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) করে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

অন্য চার নির্বাচন কমিশনার হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ কবিতা খানম, সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী।

সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দুজনের নাম প্রস্তাব করেন। অন্যজন ছিলেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার।

কমিশনার পদে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিতদের মধ্য থেকে বাদ পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জারিনা রহমান খান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য মো. আবদুল মান্নান, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-এর প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।

এর আগে সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে দুজন এবং বাকি চার কমিশনারের প্রতি পদের বিপরীতে দুজন করে আটজনের নাম প্রস্তাব করে সার্চ কমিটি। সব মিলিয়ে মোট ১০ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়।

প্রস্তাব জমা দেয়ার আগে বিকালে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে চতুর্থ ও শেষবারের বৈঠকে সার্চ কমিটি নাম চূড়ান্ত করে।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত ২৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক, মহাহিসাব নিরীক্ষক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক শিরীণ আখতার।

কমিটি গঠনের পর গত ২৮ জানুয়ারি প্রথম বৈঠক করে সার্চ কমিটি। এরপর দুদফায় দেশের বিশিষ্ট ১৬ জন নাগরিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা।

পরে ৩১ জানুয়ারি নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে সার্চ কমিটি। যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে প্রাপ্ত শতাধিক নামের মধ্যে ২০ জনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়। গত বৃহস্পতিবার তৃতীয়বারের মতো বৈঠকে বসেন কমিটির সদস্যরা। ওই বৈঠকে নাম নিয়ে আলোচনা হয়।