টেকনাফে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে এক বাংলাদেশী জেলে নিহত হয়েছেন।

এসময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরো এক যুবক।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে টেকনাফ সদরের মৌলভীপাড়া সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নুরুল আমীন (২৬) পৌরসভার চৌধুরীপাড়া এলাকায় কবীর আহমেদের ছেলে। গুলিবিদ্ধ মতুর্জা (২৪) একই এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে।

এছাড়া ফিরে আসা ওপর এক জেলে নূর হাকিম বলেন, ভোরে ছোট্ট ট্রলারে করে টেকনাফের সীমান্তবর্তী নাফ নদীর মাঝখানে নুরুল আমীন, মতুর্জা ও আমি মাছ শিকার করছিলাম। এসময় বিজিপি আমাদের ধাওয়া দেয়। পরে সকাল ৮টার দিকে বাংলাদেশ সীমান্তে ভীড়তে আসলে তারা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি করে।

নূর হামিক বলেন, পরে আমি তীরে এসে তাদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ অপর জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

টেকনাফে বিজিবি ব্যাটালিয়ান ২- এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু জার আল জাহিদ জানান, এ বিষয়ে মিয়নমার বিজিপি কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের দাবি বাংলাদেশী জেলেরা মিয়ানমার সীমান্তে গেলে তারা বাধা দেয়। পরে গুলি চালায়।

তিনি বলেন, জেলেদের ওপর গুলিবর্ষণ করে বিজিপি সীমান্ত চুক্তির লঙ্ঘন করেছে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাদের কাছে প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হবে।

এদিকে একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আমাদের কক্সবাজার প্রতিনিধি জানায়, টেকনাফের হাসান আলী নামের জনৈক ব্যক্তি বিজিপির সোর্স হিসেবে কাজ করেন। নাফ নদীর মাঝ সীমানায় মাছ ধরতে গেলে তাকে ভাগ দিয়ে
খুশি করতে হয়। না হলে তিনি বিজিপিকে দিয়ে অপহরণ কিংবা ধাওয়া করান।

সোমবারের ঘটনাটাও তার মাধ্যমে হয়েছে বলে মনে করছেন সূত্রটি।
কাউন্সিলর মুজিবও হাসপাতাল এলাকায় নুরুল আমিনের মরদেহ দেখতে গেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হাসানের বিষয়ে ইঙ্গিত দেন।