বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছেন ভারত ‘এ’ দলের ব্যাটসম্যানরা। তামিম-সৌম্যরাও ছেড়ে কথা বলেননি। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে বাংলাদেশ দেখিয়েছে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী। হায়দরাবাদে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটি ফল দেখবে না, জানাই ছিল। ম্যাচটা হয়েছেও ড্র। তবে ঝোড়ো জবাবে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের প্রস্তুতি।

ভারত ‘এ’ দলের চেয়ে ২৩৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকারের ওপেনিং জুটি ৭৪ বলে তুলে ফেলে ৭১ রান। কুলদীপ যাদবের বলে ঈশান কৃষাণের হাতে স্টাম্পড হওয়ার আগে প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা সৌম্যর রান ৩২ বলে ২৫। যাদবের পরের বলেই শূন্য রানে ফিরে যান মুমিনুল হক। ৫৪ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত ছিলেন তামিম। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংস আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ভারতীয় বোলারদের বড় বার্তা দিলেন বাঁহাতি ওপেনার।
৮১ বলে ১০৩ রানের ইনিংসে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন বিজয় শংকর। শফিউল-মিরাজদের খাবি খাইয়ে ৪৬১ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত ‘এ’ দল। ২৮৭ রানে ৭ উইকেট তুলে নেওয়ার পরও প্রথম ইনিংসে ভারত ‘এ’ দলকে অলআউট করতে পারেনি বাংলাদেশ। শংকর ও নয়ে নামা নিতিন সাইনি সেটি হতে দেননি। অষ্টম উইকেটে তারা তোলেন ১১৫ রান। ১৪ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন শংকর। আর তাইজুল ইসলামের বলে আউট হওয়ার আগে সাইনি করেছেন ৬৬ রান। শংকরের আগে সেঞ্চুরি পেয়েছেন প্রিয়াঙ্ক কিরিত পাঞ্চাল (১০৩) ও শ্রেয়াশ আয়ার (১০০ অবসর)।
৫৭ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন শুভাশিস। তাইজুলের ৩ উইকেট এসেছে ১৪১ রানে। মেহেদী হাসান মিরাজের দিনটা বড় কঠিন গেছে। ১৬ ওভারে ৯২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন বাংলাদেশ দলের এই অফ স্পিনার।
প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেদের ভালোভাবে ঝালিয়ে নেওয়াটাই আসল কথা। সেটি মন্দ হয়নি বাংলাদেশের। তবে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হায়দরাবাদ টেস্টে সাকিব-মিরাজদের যে কঠিন পরীক্ষা নেবেন কোহলিরা, সেটি বোঝা গেল এই ম্যাচে।