নিষেধাজ্ঞার বদলে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা৷ কূটনীতির লড়াইয়ের মাঝে সংঘর্ষের প্রস্তুতি৷ মার্কিন প্রেসিডেন্টের কঠোর অবস্থান৷ আলোড়িত তেহরানের রাজনৈতিক মহল৷ ফলে যুদ্ধের সম্ভাবনার পথ খোলা রেখেই টন টন ইউরেনিয়াম মজুত করছে ইরান সরকার৷ জানাচ্ছে সংবাদ সংস্থা এএফপি৷

রাশিয়া থেকে ১৪৯ টন ইউরেনিয়াম কিনেছে ইরান সরকার৷ মঙ্গলবার তা দেশে পৌঁছে যাবে৷ জানিয়েছেন দেশের দেশের পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান আলি আকবর সালেহি৷ সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘ইরনা’ জানাচ্ছে এই খবর৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের আমেরিকা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন৷ এই তালিকায় পড়েছে সিরিয়া, ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। তীব্র প্রতিবাদ জানায় ইরান সরকার৷ পাল্টা তারও সেদেশে মার্কিন নাগরিকদের ঢোকা নিষিদ্ধ করেন ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি৷ পরে সাময়িকভাবে সেদেশে হওয়া কুস্তি প্রতিযোগিতায় মার্কিন কুস্তিগিরদের প্রবেশে ছাড়পত্র দিয়েছে তেহরান৷

ওয়াশিংটন-তেহরান কূটনৈতিক লড়াই যুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ ইরাক-ইরান যুদ্ধের পর গত কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম বোমা হামলার আশঙ্কা করছেন ইরানিরা৷ পারস্য উপসাগরে বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে ইরানি নৌ সেনা৷ আকাশ যুদ্ধের জন্য তৈরি দেশের বিমান বাহিনী৷ ইরানি স্থল সেনাকে প্রস্তুতির চূড়ান্ত নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷

প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে মার্কিন সেনা৷ পারস্য উপসাগরে তারাও নিয়েছে সামরিক মহড়া৷ সাগরের বুক থেকে ইরানের মাটিতে বিমান আক্রমণের জন্য প্রস্তুত মার্কিন যুদ্ধ বিমান৷ সবমিলে সাগরের নীল জলে যুদ্ধের কালো ছায়া৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক তরজা যুদ্ধের দিকেই গড়াতে পারে৷ এমনই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের একাংশ৷ উল্টো যুক্তি দিয়ে কিছু বিশেষজ্ঞের দাবি, তেল সমৃদ্ধ দেশ ইরানের উপর আক্রমণ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

২০১৫ সালে পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের সামনে উন্মোচিত করার পদক্ষেপ নেয় ইরান৷ সেই পরমাণু চুক্তির পরই সাময়িক স্বস্তিতে ছিলেন ইরানিরা৷ নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে তাদের মনে উঁকি দিচ্ছে যুদ্ধের ভয়৷
সূত্র : ওয়েবসাইট