জেলা সদর উপজেলায় শ্রেণীকক্ষে নিজের ছেলে ১ম ব্রেঞ্চে বসতে না পারায় কামরুল ইসলাম (১১) নামে এক শিক্ষার্থীকে জুতাপেটা করে গুরুতর আহত করেছেন আব্দুল আউয়াল নামের এক কুলাঙ্গার শিক্ষক। আহত ঐ শিক্ষার্থীকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার(৩১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ফকিরের তকেয়া এলাকার রমাকান্ত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী কামরুল পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রমাকান্ত (ফকিরের তকেয়া) এলাকার দমসের আলীর ছেলে। সে ঐ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্র। শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সুত্রে জানা যায়, প্রথম বেঞ্চে বসা নিয়ে কামরুল হাসান ও তার সহপাঠি ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল আউয়ালের ছেলে রাকিবের মধ্যে ঝগড়া হয়।

পরক্ষনে রাকিব বিষয়টি তার বাবা আব্দুল আউয়ালকে জানালে তিনি শ্রেণী কক্ষে গিয়ে কোন কিছু না শুনে কামরুলকে এলোপাথারী কিল-ঘুষি ও জুতাপেটা করতে থাকেন। এতে কামরুল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে এলোপাথাড়ি লাথি মারতে থাকেন কুলাঙ্গার শিক্ষক আব্দুল আউয়াল। এতে কামরুল সজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে অন্য শিক্ষকরা তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার বেগতিক দেখে শিক্ষক আউয়াল তার ছেলে রাকিবকে নিয়ে সটকে পড়েন। বর্তমানে আহত কামরুল সদর হাসপাতালের ৩য় তলার ৪৩ নম্বর বেডে সঙ্গাহীন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শামীমা নাজনীন জানান, মাথায় প্রচন্ড আঘাত পাওয়ায় ছাত্রটি সঙ্গা হারিয়ে ফেলে। তবে সে বর্তমানে আশংকা মুক্ত বলেও দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক আব্দুল আউয়ালের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, তার ছেলের গায়ে আঘাত করায় রাগের মাথায় ওই ছাত্রকে দু চারটি চর-থাপ্পর মেরেছেন। জুতা দিয়ে লাথি মারা হয় নি বলেও তিনি দাবি করেন। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আফসার আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃজনক। তবে সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

মোঃ ইউনুস আলী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি