মৃত মানুষকে জীবিত করার কেরামতি দেখানোর নামে বঙ্গোপসাগরে চুবিয়ে দুই জেলেকে হত্যার ঘটনায় বরগুনায় দুইজনের মৃত্যুদ- ও ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।সাত বছর আগের এ মামলার আরও এক আসামিকে দেওয়া হয়েছে সাত বছরের কারাদন্ড।
বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু তাহের সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।এপিপি আকতারুজ্জামান বলেন, ২০১০ সালের ১৪ ফেব্র“য়ারি বরগুনার একটি ট্রলারে করে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান ১৬ জেলে।সাগরে থাকার সময় কথিত এক রাসুলের মাধ্যমে মৃত মানুষকে জীবিত করা যায় এমন কথা বলে দুই জেলেকে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।নিহত দুইজন হলেন – বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ডেমা-গুলিশাখালী গ্রামের আয়নাল (২৪) ও ফারুক (৪০)।রায় ঘোষণার সময় সব আসামি আদালতে ছিলেন।ফাঁসির দ- পাওয়া আসামিরা হলেন – একই গ্রামের মো. বাবুল মাঝি (৪৫) ও মো. রুস্তুম আলী হাওলাদার (৫০)।যাবজ্জীবন পাওয়া সাতজন হলেন – একই গ্রামের ফজলু হাওলাদার, আবদুল খালেক, মনিরুল ইসলাম, আবদুর রহিম, বাবুল, কুটি মিয়া, বাদল, আবু হানিফ, আবুল বাশার, রিয়াজ গাজী, খোকন ও সেন্টু মিয়া।আর কথিত রাসূল হাবিবুর রহমান জমাদ্দার পেয়েছেন সাত বছরের কারাদন্ড। তার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায়।এপিপি আকতারুজ্জামান বলেন, ট্রলারে থাকা অন্য জেলেদের কাছে ঘটনার বর্ণনা শুনে ২০১০ সালের ৬ মার্চ বরগুনা সদর থানায় ১৫ জনকে আসামি করে নিহত আয়নালের বড় ভাই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে সোমবার দুপুরে বিচারক মো. আবু তাহের দুইজনকে ফাঁসি, সাতজনকে যাবজ্জীবন ও কথিত রাসুল হাবিবুর রহমান জমাদ্দারকে সাত বছরের কারাদন্ড দেন।ন্যায় বিচার হয়েছে দাবি করে এপিপি আকতারুজ্জামান বলেন, আশা করি উচ্চ আদালতেও রায় বহাল থাকবে।তবে আসামিপক্ষে আইনজীবী কমল কান্তি দাস ও তোফাজ্জেল হোসেন কিসলু বলেন, আসামিরা ন্যায় বিচার পাননি। তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।