অবৈধ দখলে হারিয়ে যেতে বসা ঢাকার খারগুলো উদ্ধারে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে অভিযানে নামছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। আগামী ৬ ফেব্র“য়ারি নন্দীপাড়ার ত্রিমোহনী খালের ওপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে এ অভিযান শুরু হবে বলে রোববার দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন জানিয়েছেন।রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রাথমিকভাবে ৬ এবং ৯ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত নন্দীপাড়া ত্রিমুখী খাল ও হাজারীভাগ বেড়িবাঁধ এলাকার রাস্তা অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাইদ খোকন। রোববার বিকেল ৪টায় নগর ভবনে আয়োজিত এক জরুরি বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।

মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী ঢাকা শহরে খাল, বক্সকালভার্ট ও রস্তা অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য আমরা এ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতার কারণ হলো- খাল ও বক্সকালভার্টগুলো অবৈধভাবে দখল করে ভরাট করা। তাই আমরা প্রাথমিকভাবে নন্দীপাড়া ত্রিমুখী খালকে পুনরায় সচল করার লক্ষ্যে আগামী ৬ ফেব্র“য়ারি অভিযান চালাব। একই সঙ্গে বেড়িবাঁধ এলাকার রাস্তা দখল মুক্ত করার জন্যও ৯ ফেব্র“য়ারি অভিযান চলবে।তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশনের অধীনে যতগুলো খাল ও বক্সকালবার্ট রয়েছে সেইগুলোকে আগের রুপে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে কাজ করা হবে। অনেকগুলো খাল ব্যক্তি মালিকানায় অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। সেইসব খালগুলোকে সরকারিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করে অধিগ্রহণ করা হবে।খাল দখল মুক্ত করতে সিটি করপোরেশন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, দখলকারীরা যেকোনো দল বা যেকোনো পর্যায়ের নেতা হোক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। জনগণের সম্পত্তি জনগণকে ফিরিয়ে দিতে আমরা কাজ করে যাব। এ ক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

খাল, রাস্তা ও বক্সকালভার্ট অবৈধ দখলদার মুক্ত করার লক্ষ্যে সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন ও ডিএমপি একযোগে কাজ করে যাবে বলেও বলেন মেয়র।তিনি বলেন, দখলদার যে দলেরই হোক, যে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাই থাকুক, তা আমাদের বিবেচিত বিষয় নয়।জনগণের রাস্তা, ফুটপাত তাদের অধিকারে ফিরিয়ে দেব। এ ব্যাপারে কোনো মহল যড়যন্ত্র করতে চাইলে আমরা তা প্রতিহত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।সম্প্রতি দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গুলিস্তান, মতিঝিল ও আশপাশের এলাকার রাস্তা ও ফুটপাত হকারমুক্ত করেছে।তবে এসব স্থানে কর্মদিবসে সন্ধ্যা থেকে এবং ছুটির দিনগুলোতে সারাদিন হকাররা মালামাল নিয়ে বসতে পারবেন বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন। এ সময় বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা ওয়াসার এমডি টেক্সিম খান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এমডি রেফাত জামিল ও ঢাকা জেল প্রশাসক মো. সালাউদ্দিন প্রমুখ।