গ্রহণযোগ্য সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে দেশে যদি আবারো সংকট ঘনীভূত হয় এবং নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয় তার দায় সরকারের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতিরও। রোববার দুপুরে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বিএনপি এবং জনগণ প্রত্যাশা করে রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে জনগণের মতামত উপলদ্ধি করে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য সার্চ কমিটি গঠন করবেন। যারা পরবর্তিতে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। তা না করে যদি সরকারের ইচ্ছানুযায়ী সার্চ কমিটি করা হয় তাহলে যে নির্বাচন কমিশন হবে তা রকিবউদ্দিন মার্কা আরেকটি আজ্ঞাবহ কমিশন।

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার উন্নয়নের নামে মিথ্যাচার করছে। কারণ গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন টেকসই হয় না। সরকারের কোনো ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ নেই। সর্বক্ষেত্রে অরাজকতা ও দুর্নীতি। এভাবে চলতে থাকলে দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।’বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, গণতন্ত্র এখন আওয়ামী লীগের বাক্সে বন্দি। জনগণের অধিকার হরণ করা হয়েছে। সরকার জনগণকে ভয় পায়। এজন্যই ভোট দেয়ার পরিবেশ তৈরি করতে চায় না।তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপিকে দাবিয়ে রাখতে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা মিথ্যে মামলা দিচ্ছে। এর মাধ্যমে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকবে বলেও মনোভাব পোষণ করছে। কিন্তু ইতিহাস বলে প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতা করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা যায় না। কেউ কোনো দিন পারেনি।সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ মহিলা দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।