ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম দিনই বাংলাদেশকে ২৮৯ রানে অলআউট করে দিয়ে দ্বিতীয় দিনে বড় সংগ্রহের পথ তৈরি করছিলো স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের শেষ সময়ে হঠাৎ করেই জ¦লে উঠেন বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।শেষ মুহূর্তে সাকিবের ৩ উইকেট শিকারে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফিরলো টাইগাররা। ৬৬ ওভারে ৪ উইকেটে ২৫১ রান থেকে ৭১ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬০ রান তুলে দিন শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড। ৩ উইকেট হাতে নিয়ে এখনো ২৯ রানে পিছিয়ে ব্ল্যাক-ক্যাপসরা।নিজেদের প্রথম ইনিংস শুরু করে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৫ রান পেয়েছিলো নিউজিল্যান্ড। জিত রাভাল ও টম লাথামের জুটি ভেঙ্গে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন বাংলাদেশের পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। ১৬ রানে থাকা রাব্বিকে ফেরান রাব্বি।

এরপর নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকেও তুলে নেন রাব্বি। মাত্র ২ রান করে ফিরেন তিনি। এরপর দলের হাল ধরেন লাথাম ও রস টেইলর। এতে ভালো অবস্থায় পৌঁছে যায় কিউইরা। ১০৬ রানের জুটি গড়েন তারা। এই জুটিতে ভাঙ্গন ধরান টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। ৬৮ রান করে ফিরেন লাথাম।লাথাম ফিরে যাবার কিছুক্ষণ পর ফিরেন টেইলর। ব্যক্তিগত ৭৭ রানে টেইলরকে থামিয়ে দেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। ফলে ৪ উইকেটে ১৭৭ রানে পরিণত হয় নিউজিল্যান্ড। সেখান থেকে দলকে খেলায় ফেরান হেনরি নিকোলস ও মিচেল স্যান্টনার। দু’জনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ভালো অবস্থায় থেকে দিন শেষ করার স্বপ্ন দেখছিলো নিউজিল্যান্ড।কিন্তু সেটি হতে দেননি সাকিব। নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ৬৭তম ও নিজের পঞ্চম ওভারে আক্রমণে এসেই নিকোলস-স্যান্টনারের ৭৫ রানের জুটি ভাঙ্গেন সাকিব। ২৯ রানে থাকা স্যান্টনারের উইকেট নেন তিনি।এরপর নিজের ষষ্ঠ ওভারে আরও দুই উইকেট তুলে নিয়ে, বাংলাদেশকে দারুণভাবে খেলায় ফেরান সাকিব। স্বাগতিক উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিং-কে ১ ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে শূন্য রানে বোল্ড করেন সাকিব।এরপর দিনের শেষ দুই ওভারে নিউজিল্যান্ড আর কোন উইকেট হারায়নি। ফলে নিকোলস ৫৬ ও টিম সাউদি ৪ রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশের সাকিব ৩টি, রাব্বি ২টি এবং তাসকিন-মিরাজ ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।