জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের দোসর মহল বাঙালি ও বাংলাদেশকে যে জায়গায় নিয়েগেছে, সেখান থেকে সকল প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্র পরিচালনা করা ছিলো একটি চ্যালেঞ্জ। আর সে চ্যালেঞ্জ অর্জিত হয়েছে শেখ হাসিনার মাধ্যমে। বাঙালি তার স্বকীয়তা ফিরে পেয়েছে।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার সময় রাজধানীর শিশুকল্যাণ পরিষদ হল রুমে বঙ্গবন্ধু’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও সরকারের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভা আয়োজন করেন বঙ্গবন্ধু আদর্শ বাস্তবায়ন লীগ। এ সময় প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলির সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা তখনও ষড়যন্ত্র করেছে এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বেহত করতে একের পর এক নীল নকশা তৈরি করছে। হেফাজতের সেই সময়রের মতন এখনও ভিতরে-ভিতরে ষড়যন্ত্র করছে যা আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে।

আলোচক বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, ৭৫-এর পর স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের দোসর মহল পরিকল্পিতভাবে বাঙালি ও বাংলাদেশকে পাকিস্তানী অঙ্গ রাজ্য বানানোর যে ষড়যন্ত্র করেছিল, পাকিস্তানী নীল নকশায় যেভাবে রাষ্ট্রপরিচালিত হয়েছিল; সেখান থেকে ওঠে আসা ছিল একটি বিড়াট চ্যালেঞ্জ। আর সেই পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিচালিত রাষ্ট্রকে আবারও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরে আনতে সক্ষম হয়েছে বঙ্গবন্ধু’র কন্যা শেখ হাসিনা।

তিঁনি আরও বলেন, সরকারের উন্নয়নের বাতাসের প্রশংসায় না উড়ে আওয়ামী লীগ ও সরকারের ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা করুন। সমালোচনার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও সরকারকে সঠিক পথে চলতে সহায়তা করুন। শেখ হাসিনার পাশে থেকে ৩০ লক্ষ শহীদ আর ২ লক্ষ সম্ভ্রব বিনাশের নারী মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করুন।

সংগঠনের সভাপতি শেখ মো. আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা সতীশ চন্দ্র রায়, আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করিম, বোয়াফ সাংগঠনিক সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম জুয়েল, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম আনিসুর রহমান খোকন, ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাই নিউজের সম্পাদক আলী নেয়ামত, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি অ্যাড. মশিউর রহমান, সংগঠনের কেএম মেহেদী হাসান মিলন প্রমুখ।