সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ‘ডিজিটাল সিস্টেম’ চালু হওয়ায় তদবির চেষ্টা অকার্যকর হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।শনিবার নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে বিভাগীয় উদ্ভাবনী ও জেলা ব্র্যান্ডিং মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করে তিনি।শফিউল বলেন, প্রাইমারি ও সরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তির পদ্ধতিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এটা সম্পূর্ণ ডিজিটাইজড পদ্ধতিতে আবেদন করবে। রেজাল্ট অনলাইনে দেওয়া হবে। এর মধ্যে ‘পাবলিকের’ কোনো হাত নেই।পাবলিকের হাত থাকলে যেটা হয়, তদবির করে, যারা শক্তিশালী তার ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করে। জাস্টিস এনশিওর করা যায় না। যদি নৈর্ব্যক্তিকভাবে অনলাইনে সবকিছু হয় তাহলে এর মধ্যে কারও হাত দেওয়ার সুযোগ থাকে না।

উদাহরণ দিয়ে সচিব বলেন, যেমন ধরেন, একটা বাচ্চা সিলেট মেডিকেল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে আসবে। সে কিন্তু এমনি এমনি আসতে পারবে না, তদবির করে আসতে পারবে না। যত বড় হাইয়ার তদবিরকারক হোক। অনলাইনে আবেদন করার পর নাম্বারে কুলালে সে আসতে পারবে।পরিকল্পনামন্ত্রীর একটি ঘটনা তুলে ধরে শফিউল বলেন, একটা মেয়েকে রংপুর থেকে কুমিল্লায় মাইগ্রেট করার চেষ্টা করেছিলেন। পারেননি। আমি বলেছি, এটা প্রায় অসম্ভব। স্বাস্থ্যমন্ত্রীরও কিছু করার নেই। তিনিও সিস্টেমের কাছে অসহায়।

দূর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে হলে আমাদের এই সিস্টেমে যেতে হবে, যাতে কেউ রাজনৈতিক ইনফ্লুয়েন্স, পেশিশক্তির প্রদর্শনে কাজ হবে না, বলেন তিনি। সেবা প্রদানে সরকারি কর্মকর্তাদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটেছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “আগে কেউ সরকারি অফিসে গেলে জিজ্ঞেস করা হত- কী চাই? এখন বলে- আপনাকে কীভাবে সাহায্য করতে পারি।রেমিটেন্স বাড়াতে তরুণদের ডিজিট্যালি স্কিলড করে বাইরে পাঠানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।তিন দিনব্যাপী এ মেলায় চট্টগ্রাম বিভাগের এগার জেলার প্রায় ১০৯ টি স্টল অংশ নিচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে।চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রেঞ্চের ডিআইজি মোহা. শফিকুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন।