ঊনসত্তরের মহান গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার ।দিনটি শহীদ আসাদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। শহীদ আসাদ পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। ঊনসত্তরের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের এক পর্যায়ে ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ছাত্র মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে আসাদ শহীদ হন।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে শুক্রবার সকাল ৮টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে শহীদ আসাদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে । গণআন্দোলনের এই শহীদের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাবে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, ওয়ার্কার্স পার্টি, সিপিবি, বাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠন।

আসাদ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এক বিবৃতিতে বলেন, শহীদ আসাদের রক্তদানই আইয়ুব শাহীর পতনের পথ তৈরি করে। এই গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরেই স্বাধীনতা সংগ্রাম ত্বরান্বিত হয়। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে শহীদ আসাদের আত্মদানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (মেনন গ্রুপ) নেতা আসাদ ১৯৬৯ সালে ২০ জানুয়ারি পুলিশের গুলিতে নিহত হন।তার মৃত্যু গণআন্দোলনকে বেগবান করে, যার ফলে পতন ঘটে আইয়ুব খানের, মুক্তি পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ রাজবন্দিরা।আসাদের মৃত্যুর এই দিনটিকে আসাদ দিবস হিসেবে পালন করে রাজনৈতিক দলগুলো।

আসাদ যেখানে মারা গিয়েছিলেন, সেই স্থানে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে রোববার ফুল দিয়ে আসাদ স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসুর) উদ্যোগে ১৯৯২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ‘গণজাগরণ’ শিরোনামে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ হয়।