লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার চেষ্টা মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগ নেতা এহতেশাম হায়দর বাপ্পিসহ ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী এ রায় দেন। এর মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব হোসেন লোটাস, সহ-সভাপতি কেএম বাপ্পি কবির (পালসার বাপ্পি) ও যুবলীগ নেতা এহতেশাম হায়দর বাপ্পিকে ৫ বছর কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদন্ডাদেশ দেন আদালত। এছাড়া ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল, সজিব ও মিরাজকে ১ বছর ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল, তৃনমুল লীগ নেতা ওমর আল ফারুক মানিক, রকি, ও রুপমকে ১ মাস করে কারাদন্ড দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় এ মামলা থেকে ছাত্রলীগ নেতা ইমন ও মাসুদকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এদিকে ১ মাসের কারাদন্ড প্রাপ্ত ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেলসহ অপর ৩জনের আপীল আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের জামিন মঞ্জুর করে একই আদালত। এ মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামীদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এসময় ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। আদালত চত্তরে পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের আলিয়া মাদ্রাসা এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সহ- সভাপতি ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাতœক যখম করা হয়। এঘটনায় পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর আহতের বাবা অ্যাডভোকেট মো বদরুল আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী পিপি জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।