দ্বিতীয় টেস্টে কি খেলবেন মুশফিকুর রহিম? এটি এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। ওয়েলিংটন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আঙুলের চোট নিয়ে খেলতে নেমে টিম সাউদির বাউন্সারে লুটিয়ে পড়লেন উইকেটে। মাথায় আঘাত নিয়ে হাসপাতালেও যেতে হয় তাঁকে।

ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে শুক্রবার থেকে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট। তার আগে মুশফিকের চোট নিয়েই বড় দুশ্চিন্তা বাংলাদেশ শিবিরে। মাথায় আঘাত লাগলে সাধারণত তিন-চার সপ্তাহ না খেলার কথা বলেন নিউজিল্যান্ডের চিকিৎসকেরা। তবে মুশফিকের চোট খুব মারাত্মক কিছু নয়। গত দুদিনে আর আর কোনো সমস্যাও হয়নি। তাই মাথা নিয়ে মাথা ব্যথা মুশফিকের নেই বলেই মনে হচ্ছে। তবে চিড় ধরা বুড়ো আঙুল নিয়ে তিনি আরও একবার নিজেকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন কিনা, সেটি একটা প্রশ্ন।ওয়েলিংটন ছাড়ার আগের সন্ধ্যায় ফিজিও ডিন কনওয়ে পরিষ্কার বলে দিয়েছিলেন, দ্বিতীয় টেস্টে মুশফিকের খেলার সম্ভাবনা কম। কাল কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও মুশফিকের খেলা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারলেন না। অনিশ্চিত অবস্থায় আছেন ঊরুতে চোট পাওয়া ইরুুল কায়েসকে নিয়েও। হ্যাগলি ওভালে ড্রেসিংরুমের সামনে দাঁড়িয়ে হাথুরু বলেন, আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন খেলোয়াড়ের চোট আছে। মুশফিকের ব্যাপারে আরও একটা পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছি। ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বললে আরও ভালো ধারণা পাব। আর ইমরুলের সম্ভাবনা এখনো ফিফটি-ফিফটি। চোট নিয়ে শুধু একটি সুখবরই দিতে পারলেন বাংলাদেশ কোচ, মুমিনুল পাঁজরে চোট পেয়েছিল। তবে ওর অবস্থা বেশ ভালোই। আশা করছি টেস্টের আগেই ঠিক হয়ে যাবে।

ওয়েলিংটনের ক্ষত বাংলাদেশ দল এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে। তবে নিউজিল্যান্ডের পেসারদের একের পর এক বাউন্সারকে খেলোয়াড়ি দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখছেন হাথুরুসিংহে, আমার কাছে কিছুই বাড়াবাড়ি মনে হয়নি। আমরাও তো এটাই করেছি। আক্রমণাত্মক বোলিং করেছি। কামরুলের ওই ওভারের দিকে তাকিয়ে দেখুন। ওটাই টেস্ট ক্রিকেট, আসল টেস্ট ক্রিকেট। আমার কাছে লড়াইটা ভালোই লেগেছে এবং আমাদের এটাই করে যাওয়া উচিত। আমি মনে করি, আমরা একটা ভালো দলের কাছে হেরেছি।নিউজিল্যান্ডের বাউন্সারের সামনে মুশফিক আর ইমরুলের বুক চিতিয়ে লড়াই করার মানসিকতায় মুগ্ধ এই শ্রীলঙ্কান কোচ, অনেক সাহসের পরিচয় দিয়েছে ওরা। একবার স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়ার পর ইমরুলের নতুন করে ব্যাট করতে নামা, বুড়ো আঙুলের চোট নিয়েও মুশফিকের ব্যাটিং করার সাহস দেখানো, এগুলো প্রমাণ করে তারা দেশের জন্য কতটা নিবেদিতপ্রাণ।ওয়েলিংটনের চেয়ে ক্রাইস্টচার্চের কন্ডিশন বাংলাদেশকে আরও কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে পারে। তার ওপর মুশফিক-ইমরুলের খেলাও অনিশ্চিত। কোচের কণ্ঠে তবু ফিরে আসার আশাবাদ, লড়াইয়ে ফেরা অসম্ভব কিছু নয়। সময়ই বলবে আমরা সেটা পারব কিনা। তবে আমাদের সব চেষ্টা ও পরিকল্পনা নিজেদের ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যেই।