খুলনায় শিশু রাকিব হত্যা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে পেপার বুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু হয়।শুরুতে রাষ্ট্রপক্ষে পেপারবুক থেকে উপস্থাপন করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম ও বিলকিস ফাতেমা। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গোলাম মো. চৌধুরী আলাল।
রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম বলেন, পেপার বুক উপস্থাপন করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে এই মামলার শুনানি শুরু হলো।২০১৫ সালের ৩ আগস্ট খুলনার টুটুপাড়া কবরখানা মোড়ে শরীফ মোটরস নামের এক মোটর গ্যারেজে মোটরসাইকেলের চাকায় হাওয়া দেওয়ার কমপ্রেশার মেশিনের মাধ্যমে মলদ্বারে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যা করা হয় শিশু রাকিবকে। ওই মামলায় ওই বছরের ৮ নভেম্বর রায় দেন খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালত। রায়ে শরীফ মোটরসের মালিক ওমর শরীফ ও তাঁর দূর সম্পর্কের চাচা মিন্টু মিয়াকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। এরপর ১০ নভেম্বর নিম্ন আদালতে রায় ও মামলার নথিপত্র হাইকোর্টে পৌঁছায় এবং নথিভুক্ত হয়। এ মামলার দুই আসামি খুলনার মোটর ওয়ার্কশপ মালিক ওমর শরিফ ও তার সহযোগী মিন্টু খানকে জজ আদালতের দেওয়া মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল থাকবে কি না- তা জানা যাবে এই শুনানি শেষে।
মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের আগে হাই কোর্টের অনুমতি নেওয়াকে ডেথ রেফারেন্স বলে।প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আলোচিত এ মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করার পর ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর তা হাই কোর্টে আসে। পাশাপাশি বিচারিক আদালতের ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাই কোর্টে আপিল করেন।২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর ১২ বছর বয়সী রাকিবকে হত্যার দায়ে শরীফ ও মিন্টুর ফাঁসির রায় দেন খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা।এ মামলার অপর আসামি শরীফের মা বিউটি বেগমকে খালাস দেয় আদালত।২০১৫ সালের ৩ অগাস্ট খুলনা নগরীর টুটপাড়া কবরখানা মোড়ে শরীফের ওয়ার্কশপে মোটরসাইকেলে হাওয়া দেওয়ার কমপ্রেসার মেশিনের মাধ্যমে মলদ্বারে হাওয়া ঢুকিয়ে রাকিবকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার পর ক্ষোভের সৃষ্টি হয় সারা দেশে।পরদিন রাকিবের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে শরীফ, শরীফের সহযোগী মিন্টু খান ও মা বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলা হওয়ার ৯৬ দিন পর রায় দেয় জজ আদালত।