প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্র“টির মামলায় গ্রেপ্তার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সাত কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম আমিরুল হায়দার চৌধুরী এ আদেশ দেন।এর আগে ওই সাতজনের পক্ষে তাঁদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ হয়।গত ৩০ ডিসেম্বর এই সাতজনের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে তাঁদের প্রথম দফায় সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।

কারাগারে পাঠানো সাতজন হলেন বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক, প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, সামিউল হক, লুৎফুর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস ও জাকির হোসাইন। এ ছাড়া মামলার অপর দুই আসামি বাংলাদেশ বিমানের প্রকৌশলী মো. রোকনুজ্জামান ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

আদালত সূত্র বলেছে, গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানের ইঞ্জিনে ত্র“টি দেখা দেয়। এ কারণে বিমানটি তুর্কমেনিস্তানে জরুরি অবতরণ করে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, এটা মানবসৃষ্ট। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দফায় বিমানের প্রকৌশল বিভাগের নয়জনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, এ ঘটনায় ফৌজদারি মামলা করার ব্যাপারে সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ঢাকা বিমানবন্দর থানায় বাংলাদেশ বিমানের প্রকৌশল বিভাগের নয়জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অবহেলা ও ‘অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম’-এর অভিযোগ আনা হয়েছে।