রাজধানীতে বন্দুকযুদ্ধে জঙ্গিনেতা মারজান ও তার সঙ্গী জঙ্গি সাদ্দাম নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় পুলিশের অভিযানে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনার এক পর্যায়ে মারজান ও তার সঙ্গী আরেক জঙ্গি নিহত হয়। জঙ্গিনেতা মারজানের পুরো নাম নুরুল ইসলাম মারজান। ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মারজানের পরিচয় নিশ্চিত করে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, রাত আড়াইটার দিকে জঙ্গি নেতা মারজান দুই সহযোগীসহ মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার সময় রায়েরবাজার বেড়িবাঁধ এলাকায় পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়ে। সে সময় মারজানের দেহরক্ষী পুলিশকে গুলি করলে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। ঘটনাস্থলেই মারজানসহ ২ জন নিহত হয় এবং অন্য একজন পালিয়ে যায়।
রাত সোয়া ৪টায় দুই জঙ্গির মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখে যায় পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন জানিয়েছেন, মারজানের সাথে নিহত সাদ্দাম আরেক শীর্ষ জঙ্গি নেতা। উত্তরবঙ্গে অনেকগুলো হত্যার সাথে সে জড়িত। গুলশান হামলার অন্যতম ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলো মারজান। গুলশান হামলার কয়েকদিন পর কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় পাওয়া ছবি থেকে জানা যায় হলি আর্টিজান হত্যাকাণ্ডের অপারেশনাল চিফ মারজানের নাম পরিচয়। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানতে পারেন, হত্যাকাণ্ডের নৃশংস ছবি মারজানের কাছেই পাঠিয়েছিলো জঙ্গিরা। মারজানকে ধরতে এরপরই ছড়ানো হয় গোয়েন্দা জাল।
তবে ঘন ঘন অবস্থান বদল করায় তাকে ধরতে সমস্যা হচ্ছে বলে এর আগে জানিয়েছিলো পুলিশ। পালিয়ে থেকে নতুন সদস্য সংগ্রহ, জঙ্গিদের সংগঠিত করা ছাড়াও অর্থ ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করতো শীর্ষ জঙ্গি নেতা মারজান। মারজানের বাড়ি পাবনার হেমায়েতপুরের আফুরিয়া গ্রামে। সে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলো।
প্রসঙ্গত, জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সবচেয়ে কমবয়সী কমান্ডার মারজান (২৩)। সাংগঠনিক কার্যক্রমে তার দক্ষতা, সদস্য সংগ্রহ এবং কাউন্সিলিং করে আত্মঘাতী হামলায় শিক্ষিত তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার বিশেষ পারদর্শিতার কারণে সে এই কমান্ডিং পদবি পেয়েছে। গুলশান হামলার ঘটনায় মারজানের সম্পৃক্ততা পাওয়ার পর থেকেই তাকে খুঁজছিল গোয়েন্দারা।