দেশব্যাপী গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালনের অংশ হিসেবে জেলা ও মহানগর বিএনপির বৃহস্পতিবার বেশ কিছু জায়গায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে।বরিশালে বিএনপি অফিস অশ্বিনী কুমার হলের সামনে দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় তারা।বিএনপি অফিসের সামনে দলীয় কর্মসূচি চলাকালে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ কর্মীরা। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেলে সাংবাদিকসহ ২০ জন আহত হন।একই স্থানে আওয়ামী লীগ, শ্রমিকলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে শ্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে একদল কর্মী বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।এসময় ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠির আঘাতে ২০ জন আহত হন।আহতদের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহসহ কয়েকটি জায়গায় পুলিশের বাধার মুখে বিএনপি কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। নারায়ণগঞ্জের ডিআইপি এলাকায় মিছিলের সময় মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রতিবাদে দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। কোথাও কোথাও কর্মসূচিতে সরকার সমর্থদের হামলারও খবর পাওয়া গেছে।

বরিশাল ব্যুরো:বরিশাল সদর উপজেলায় বিএনপির সমাবেশে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলার খবর পাওয়া গেছে। হামলায় বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দলটি। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা ছাত্রলীগ। মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার জানান, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পুলিশের অনুমতি নিয়ে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় প্রথমে পুলিশ বাধা দিয়ে তাদের মাইকগুলো খুলে নিয়ে যায়। এরপরই ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে বিএনপি অফিসের সামনে এসে হামলা চালায়। এতে বিএনপির ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পাঁচজনকে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আওলাদ হোসেন জানান, বিএনপি কোনো রকম অনুমতি না নিয়ে সমাবেশের চেষ্টা করলে বাধা দেয়া হয়। তবে তাদের দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে সভা করতে বলা হয়েছে। এছাড়া তারা বাইরে কোনো মাইক ব্যবহার করতে পারবে না। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিএনপি কার্যালয় সংলগ্ন সদর রোড দিয়ে মিছিল করেছি। বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে তারা সমাবেশে সংর্ঘষ হয়েছে বলে জানান তিনি।

নারায়ণগঞ্জ: গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে মহানগর যুবদলের মিছিল ও মহানগর বিএনপির বিক্ষোভে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন। আটক করা হয়েছে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদসহ তিনজনকে।বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের গুলশান হলের সামনে যুবদলের মিছিলে এবং ডিআইটি এলাকায় বিএনপি কার্যালয়ের নিচে নেতাকর্মীদের সমাগমে এ লাঠিচার্জ করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করায় নেতাকর্মীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে শহরের মন্ডলপাড়া পুল এলাকা থেকে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আসার পথে গুলশান হলের সামনে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় ধস্তাধস্তি শুরু হলে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করতে থাকে। এতে আহত হন যুবদল নেতা জুলহাস ও মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক রাশেদুর রহমান রশুসহ ১০-১২ জন। আটক করা হয় খোরশেদ, মহানগর যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক রানা মুজিব, যুবদল নেতা আলামিন খান ও বাদশা মিয়াকে।একই সময়ে বিএনপি কার্যালয়ের নিচে দলের নেতাকর্মীরা জড়ো থাকলে হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল আলম মুছা গুরুতর আহত হন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নারায়ণগঞ্জের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।আটক হওয়ার সময় খোরশেদ গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিনা উস্কানিতে লাঠিচার্জ করেছে। এ সময় আহত হন মহানগর বিএনপি নেতা রুহুল আমিন, রিফাত আহমেদসহ বেশ কয়েকজন কর্মী।এ বিষয়ে মহানগর বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আজকে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিশ আবারও প্রমাণ করলো আসলেই আজকের দিনটিতে কিভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ দিনটিকে গণতন্ত্রের কালো দিন আখ্যা দিয়ে ঘৃণাভরে স্মরণ করি।নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের অগণতান্ত্রিকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বিনা উস্কানিতে হামলা করেছে।এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করায় তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। এসময় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় আটক করা হয়েছে ৪ জনকে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি আয়োজিত কালো পতাকা মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ১১টার দিকে শহরের পাওয়ার হাউজ রোড থেকে কালো পতাকা হাতে মিছিল বের করে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কয়েকশ’ নেতাকর্মী।মিছিলটি শহরের পাওয়ার হাউজ রোড থেকে কালীবাড়ি মোড় প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের তর্ক-বিতর্ক হয়।এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন বলেন, গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা কালো পতাকা মিছিল বের করি। মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ আমাদের মিছিলে বাধায় দেয়ায় কালীবাড়ি মোড়েই আমরা সংক্ষিপ্ত পথসভা করেছি।পুলিশি বাধার ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. মঈনুর রহমান বলেন, ‘মিছিলকারীরা আইনশৃংখলার অবনতি ঘটাতে পারে-এমন গোয়েন্দা তথ্য ছিল আমাদের কাছে। আইনশৃংখলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই মিছিলে বাধা দেয়া হয়েছে।

ময়মনসিংহ ব্যুরো:ময়মনসিংহে বিএনপির পূর্বঘোষিত কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ পন্ড করে দিয়েছে পুলিশ।দুপুরে শহরের নতুন বাজার বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সের নেতৃত্বে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশের বাধায় মিছিল বের করতে না পেরে সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।সমাবেশে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাজী রানা, শিব্বির আহমেদ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম, কোষাধ্যক্ষ রতন আকন্দ, প্রচার সম্পাদক কায়কোবাদ মামুন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আওরঙ্গজেব বেলাল, শ্রমিক দলের সভাপতি আবু সাঈদ উপস্থিত ছিলেন।

সিলেট: সিলেটে পুলিশি বাধার কারণে কালো পতাকা মিছিল বের করতে পারেনি বিএনপি। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি এ কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচির আয়োজন করে।এজন্য সকাল থেকেই সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা। বেলা সাড়ে ১১টায় শহীদ মিনার থেকে থেকে মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা।সেখানে মিছিল করতে না পেরে নগরীর আম্বরখানার দিকে চলে যান নেতাকর্মীরা। আম্বরখানা থেকে পুনরায় মিছিলের চেষ্টা করলে আবারও পুলিশ তাদের বাধা দেয়। ফলে মিছিল না করেই ফিরে যান তারা।এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার সহকারী কমিশনার (এসি) নুরুল হুদা আশরাফী বলেন, ‘বিএনপি মিছিলের ব্যাপারে প্রশাসনের অনুমতি নেয়নি। তাই তাদের মিছিল করতে দেয়া হয়নি।

জয়পুরহাট প্রতিনিধি:জয়পুরহাটে পুলিশি বাধায় পন্ডু হয়ে গেছে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে বের করা জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জয়পুরহাটে দলীয় কার্যালয় থেকে জেলা বিএনপি শহরের প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়।মিছিলটি রেলগেট পার হয়ে পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে চাইলে মিছিলটিকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সামনে থেকে ১রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে বলে দাবি করেছেন- জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মোজাহার আলী প্রধান। পরে পুলিশি বাধায় বাধ্য হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি দলীয় কার্যালয়ে ফিরে গেলে সেখানে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘পুলিশ নয়- মিছিল থেকে ফাঁকা গুলি করার কথা শোনা গেছে। যারা গুলি চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

নরসিংদী প্রতিনিধি: গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে নরসিংদী জেলা বিএনপির কালো পতাকা মিছিল পন্ডু করে দিয়েছে পুলিশ।বৃহস্প্রতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের চিনিশপুরের জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় থেকে একটি কালো পতাকা মিছিল বের করা হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে মিছিলটি কিছু দূর এগুলে পুলিশ বাধা দেয়।এসময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাক-বিত-া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সেখানে তারা একটি প্রতিবাদ সভা করে। ফেনীতে
ফেনী প্রতিনিধি :৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচিতে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেনী শহরের এসএসকে রোড়ে জড়ো হয়। বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে মিছিল পন্ড করে দিয়েছে বলে জেলা বিএনপির অভিযোগ। তবে পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করে বলছে, পুলিশকে দেখেই বিএনপির কর্মীরা দৌঁড় দিয়েছে।ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী জানান, বিএনপির ১২/১৩ জন নেতাকর্মী জড়ো হওয়ার পর পুলিশের উপস্থিতি দেখেই দৌড় দিয়ে পালিয়েছে। তাই লাঠিচার্জের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি।এদিকে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. আবু তাহের সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের বাধাঁ ও লাঠিচার্জের কারণে ফেনীতে বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিল করতে পারেনি। তিনি পুলিশের এই ধরণের আচরণের তীব্র নিন্দা জানান।

খুলনা: কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে কালো পতাকা মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয় এমন অভিযোগ করেছেন খুলনা জেলা বিএনপি’র নেতারা।তারা বলেন, মিছিল নিয়ে বের হলে প্রায় আধা ঘণ্টা পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়।বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শেষে মিছিল বের করলে এ ঘটনা ঘটে।সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, বিএনপি নেতা মীর কায়সেদ আলী, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, শেখ খায়রুজ্জামান খোকা, সিরাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট এস আর ফারুক, শাহজালাল বাবলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আজিজুল হাসান দুলু, যুবদলের মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম তুহিন প্রমুখ।এর আগে বিএনপির বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড কমিটি এবং ছাত্রদল-যুবদল-মৎস্যজীবী দলের নেতা-কর্মীরা কালো পতাকা মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়।এ প্রসঙ্গে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, অনুমতি না নিয়ে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করায় বাধা দেওয়া হয়েছে।

রাজবাড়ীতে বিএনপি নেতাকর্মীরা কালো পতাকা মিছিল বের করে। মিছিলটি প্রধান সড়কে এলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে, বাধার মুখে পিছু হটেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারা সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে।কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট ও পটুয়াখালীতেও কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশ করেছে। এসব জায়গাতেও বিক্ষোভ মিছিল বের করতে গেলে পুলিশি বাধার মুখে তা পন্ড হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিজয় দিবস এবং বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে পালন করেএ আসছে।