গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ৩ টি মন্দিরের অন্তত ১০ টি মূর্তি ভাংচুর করা হয়েছে। গেল রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার জামাই বাজার এলাকার ডুমুরিয়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, হরি মন্দির ও রাধাগোবিন্দ মন্দিরের মূর্তি ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ সবুর ও সোহেল নমে দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।বৃহস্পতিবার সকালে মন্দিরের পূজারী কমলা রানী বালা মন্দিরে এসে মূর্তি ভাংচুর দেখে গ্রামবাসীকে খবর দেয়। এ ঘটনার প্রািতবাদে ও বিচারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ হিন্দু জনসাধারন ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ মোখলেসুর রহমান সরকার, সহকারী পুলিশ সুপারসহ পুলিশ ও প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিরাপদ বসু বলেন, বুধবার রাতে মন্দিরের গ্রীল ভেঙ্গে দুর্বৃত্তরা মন্দিরে প্রবেশ করে দূর্গা মন্দির, হরি মন্দির ও রাধা গোবিন্দ মন্দিরের মূর্তি ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে মন্দিরে অগ্নি সংযোগ করে। আগুনে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। শুধু মূর্তি চুল পুড়ে গেছে। দুর্বৃত্তরা দুর্গা মন্দিরের সব মূর্তি, হরি মন্দিরের হরি মূর্তি ও রাধা গোবিন্দ মন্দিরের মূর্তি সহ অন্তত ২০ টি মূর্তি ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা দায়ের করব।জামাই বাজার সংলগ্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্প্রতি একটি লক গেট নির্মাণ করে। গেট নির্মান করার সময় সরকারি জায়গায় শ্রমিকরা একটি ঘর তুলে নামাজ আদায় করতেন। ওই ঘরের যায়নামাজ সহ অন্যন্য মালামাল কে বা কারা ফেলে দেয়া হয়। এ নিয়ে এলাকায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। এছাড়া গেট এলাকার সরকারি জায়গায় উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের এজাজ শেখ ও সিরাজ শেখ জোর করে দোকান ঘর তুলতে গেলে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের যুবকরা বেশ কয়েক দফা বাধা দেয়। বুধবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে স্থানীয়রা বিয়টি মিটিয়ে দেয়। রাতে এজাজ শেখকে ওই এলাকায় শতাধিক লোক নিয়ে মিটিং করতে দেখা গেছে। সকালে আমরা মন্দিরের মূর্তি ভাংচুর দেখতে পাই।টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি মাহামুদুল হক বলেন, ওই এলাকায় দোকান ঘর নির্মানের বিরোধকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। আমরা এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবদের জন্য ২ জনকে আটক করেছি। থানায় মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করার পরই মামলা দায়ের করা হবে। জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেচুর রহমান সরকার বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেন, যত শক্তিশালি হোকনা কেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।