আজ ৩ জানুয়ারী ২০১৭ইং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দুপুর ২.০০টায় ৫ জানুয়ারী গণতন্ত্র রক্ষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মাননীয় কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন- যে কোনো মূল্যে সরকারের পতন ঘটাতে হবে’ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, আপনি পারেন নাই, এখন গুড়াগাড়া পোলাপান নিয়া হুকুম দিতাছেন। অনর্থক এই কোমলমতি বাচ্চাদের মাথাডা খাইয়েন না। তিনি আরো বলেন, আমরা জানি ২০১৪ সালে বেগম খালেদা জিয়া চক্রান্ত করেছিলেন, জঙ্গীদের সাথে হাত মিলিয়েছিলেন। তিনি আশা করেছিলেন ৫ জানুয়ারী নির্বাচন সংবিধানের বাধ্যবাধকতা শুধু নয় গণতন্ত্রকে সুসংগঠিত করার পদক্ষেপকে তিনি (খালেদা) ভন্ডুল করে দেবেন। পারেন নাই। পদ্মা সেতুতে দূর্নীতি হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পদ্মাসেতু করার আপনার সক্ষমতাই হয় নাই। নানা কলকাঠি নাড়ছেন। বিশ্বব্যাংক কইছে দূর্নীতি হইছে। কানাডার মাটিতে রায় হইছে পদ্মা সেতুতে কোন দূর্নীতি হয় নাই। এখন আপনি সাই ধরছেন। হাতি-ঘোড়া গেল তল-চামচিকা বলে কত জল। তিনি আরো বলেন- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, হামভী সিপাহী, তুমভী সিপাহী লড়াই কারেঙ্গা। ঢাল নাই, তাড়ওয়াল নাই খামছি মারেঙ্গা? হুংকার বাদ দেন, গণতন্ত্রের পথে আসেন। ২০১৯ সালে সংবিধান অনুযায়ী ইলেকশন হবে। সেই নির্বাচনে আপনে সুড়সুড় কইরা আসবেন, আসতে বাধ্য হবেন। তিনি বলেন, আপনার কি অবস্থা, তারিখ দিয়ে তারিখ রক্ষা করতে পারেন না। ৫ তারিখে না কী আপনি সব কিছু কাপাইয়া দিবেন, তা এখন আবার ৭ তারিখ গেছেন কেন? এখনও ৫ তারিখের হুংকার দিয়া ৭ তারিখ নিছেন। যুবলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত বিষধর সাপ। বিড়াল যদি বলে আমি ভাজা মাছ খাই না আর ঐ হায়নারা যদি বলে পচা লাশ চাই না। তা বিশ্বাস করলে ঠকতে হবে। যুবলীগ অতন্দ্র প্রহরীর মতো ৭ জানুয়ারী পাহাড়া দিবে।
সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন- ২০১৬ সাল বাংলাদেশ ভয়াবহ মৌলবাদী সন্ত্রাসের উত্থান দেখেছি। আবার তার পতনও দেখেছি। ইদানিং বিবৃতি নেতা রুহল কবির রিজভী সাহেব এখন আর আন্দোলন-আন্দোলন বলে না- রোজা রমজানে সেহরি ইফতারের সময় আসন্ন পরীক্ষার আগে শুধু আন্দোলন গুরতর আন্দোলন বলেছেন। আর দেখেছি জঙ্গিবাদ দমনে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সরকারের অসাধারণ কৃতিত্ব দেখেছে-এই বাংলার মানুষ- দেখে বিশ্ববাসী। যার প্রশংসা আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও করেছেন। ২০১৬ সাল বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের দাপট যেমন দেখেছি, তেমনি দেখেছি তার শোচনীয় পরাজয়। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশের সম্মানিত স্থানটি নিশ্চিত করেছে ২০১৬ সালেই-রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দুবদশির্তায়। তিনি আরো বলেন- কেমন করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসল- পাকিস্তানীদের মাজা ভেঙ্গে দিয়েছেন বলে। রাজাকারদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেন বলে-ভারত, আমেরিকা, চীন, জাপান আর রাশিয়ার মতো বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোকে এক কাতারে আনতে পেরেছেন বলে। আজ প্রমানিত সত্য ৫ জানুয়ারী নির্বাচন নিয়ে যারা দেশ-বিদেশে এই বিএনপি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া গং এখনো যারা প্রশ্ন তোলেন সমালোচনা করেন- অবৈধ বলেন তাদের সেই প্রশ্ন কিংবা সমালোচনা চীনের জিনপিংয়ের সফরের মধ্য দিয়ে দূর হয়ে গেছে। তিনি বলেন- ২০১৬ সালেই রোহিঙ্গা সমস্যা, সাম্প্রদায়িক- দাঙ্গা বাধানোর অপচেষ্টা সফল হয়নি। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রাণনাশের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য বড় বড় বিপদ ডেকে এনেছে, চ্যালেঞ্জ তৈরী করেছে। আবার সেই বিপদ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে শক্তি যুগিয়েছে এবং সাফল্য এনে দিয়েছে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আবার ২০১৬ সালের এই ঘটনাগুলো এবং শংকাই বাংলাদেশের মানুষের সাহস ও প্রতিরোধ চেতনাকে আবার জাগ্রত করেছে। তিনি আরো বলেন- ৫ তারিখের নির্বাচন হয়েছে বলে- অতিকথন ও অসত্য কথনের রাজনীতির পুরোধা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার অপরাজনীতির অবসান হয়েছে। ৫ তারিখের নির্বাচন হয়েছে বলেই- বাংলাদেশ তরতর করে এগোচ্ছে। সবটা যেমন সরকারে কৃতিত্ব নয়, তেমনি সবটার মালিকও অন্য কেউ না। মানতে হবে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা মাথার ওপর আছেন বলেই এখনো দেশ তার নিজের মতো করে চলছে,ত এগোতে পারছে। ৫ তারিখের নির্বাচন হয়েছে বলে- বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ সম্ভাবনার দেশ। ৫ তারিখের নির্বাচন হয়েছে বলে- রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা, নন্দিত নেতা- বিশ্ব মানবতার মুক্তিদাতা, বিশ্বনেতা। এখন তিনিই বাংলাদেশ। ৫ তারিখের নির্বাচন হয়েছে বলে- এই মূহুর্তে বিশ্বে সবচেয়ে প্রজ্ঞা, দুরদৃষ্টি সম্পন্ন। মানবিক, মূলবোধ সম্পন্ন এবং জনকল্যাণমুখী নেতা। যিনি তার প্রিয় বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। তার নেতৃত্বগুণে। জাতির সংঘও পর্যন্ত ২০টি পুরষ্কারে পুর®কৃত করেছেন- শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তনে। তিনি আরো বলেন- মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। কিন্তু তার কোন বিশ্ব শান্তির দর্শন নেই। এই মূহুর্তে বিশ্বে একটি মাত্র শান্তির দর্শন- জাতিসংঘে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে- রাষ্ট্রনায়ক শেখ হানিার “জনগণের ক্ষমাতয়ণ”। আবার এই কাজটি করেছে এই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। ব্রাজিলকে বলা হতো, বিশ্ব শষ্য ভান্ডার, কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতায় ব্রাজিল আজ খাদ্য ঘাটতির দেশ। অথব বাংলাদেশকে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি, দুত্তির্ক্ষের দেশ, মংগার দেশ, অথব আজ বাংলাদেশ খাদ্য আমদানীর দেশ নয়, খাদ্য রপ্তানীর দেশ, বাংলাদেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। বাংলাদেশ আজ বিশ্ব রোল মডেল। তিনি আরো বলেন- মৎস্য উৎপাদন ছিলো মালদ্বীপের প্রধান আয়ের উৎস। অথচ আজ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দৃঢ়চিত্তে মালদ্বীপকে পিছনে ফেলে মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ। পোষাক শিল্পে ভিয়েতনামকে চলা হতো ভবিষ্যতের ঠিকানা। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিচক্ষনতায় পোষাক শিল্প বিশ্বে আজ দ্বিতীয়, বিশ্বে সবুজ বিপ্লব ঘটিয়েছে পোষাক শিল্প। তিনি আরো বলেন- বিশ্বের কারখানা হবে দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যকে পোডাক্ট অব দ্য ইয়্যার ঘোষণা। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশ্বকে বিস্ময় উপহার দিচ্ছে বাংলাদেশ যার নেৃতৃত্বে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। এই ৫ তারিখ নির্বাচন সফল হয়েছে বলে। তাই বলতে ইচ্ছে করে তোমার হাতেই বিশ্ব সভায় বাংলাদেশের সুনাম, উন্নয়নের রূপকার তুমি, অগ্রগতির আরেক নাম শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা আজ বিশ্বে বাংলাদেশের অহংকারের নাম তোমার জন্যই বাঙালি আজ গর্বিত জাতি, তুমিই বাংলার সুনাম। তাই বলি ৫ তারিখ গণতন্ত্র রক্ষা দিবস। ২০১৭ সালে আমাদের আশা, বাংলাদেশে এই অপরাজনীতির অবসান হবে। ধ্বংস ও বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে ২০১৬ সাল যেমন বাংলাদেশকে সাহায্য জাগিয়েছে,
২০১৭ সাল সেই সাফল্যকে আরও সম্প্রসারিত ও সফল করে তুলবে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তিনি আরো বলেন- রাজনীতি এখন আগের মতো নেই। প্রক্সি-প্রমট করে রাজনৈতিক দল পরিচালনা করার দিন শেষ হয়ে গেছে। বাংলাদেশে এখন পোষ্টটুথ পলিটিকসের বাড়াবাড়ি চলবে না। নির্বাচন আসলে বেগম খালেদা জিয়া বলেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে মসজিদ উলুধ্বনি হবে- আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে ভারতের কাছে বিক্রি হয়ে যাবে- চাঁদে সায়েদিকে দেখা গেছে বললে চলবে না- এখন আর ধাপ্পাবাজি বুজরুকি চলবে না। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ- জ্ঞাননির্ভর বাংলাদেশ, এখন ডিজিটাল রাজনীতির যুগ- সেকেন্ডের মধ্যে মোবাইলে মুঠো ফোনে তথ্য চলে আসে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। আর এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগী সজীব ওয়াজেদ জয়। ৫ জানুয়ারী নির্বাচন হয়েছে বলে- বাংলাদেশ এখন খাদ্য আমদানীর দেশ নয় খাদ্য রপ্তানীর দেশ। গণতন্ত্র বলুন, উন্নয়ন বলুন এবং স্থিতিশীলতার পথে প্রধান সম্পদ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিশ্ব শান্তির দর্শন ‘জনগণের ক্ষমতায়’। এই তরুনরা প্রবাস থেকে ফিরে আসছেন। কারণ রাষ্ট্রনায়ক শেখ াসিনার বাংলাদেশ এখন তরুনদের দেশ, তরুনরাই এখন সম্পদ। উচ্চ শিক্ষা শেষ করে কৃষি কাজে জড়িত হচ্ছে। এখন কৃষি কাজ মানে শুধু গ্রামের মামুলি কাজ এই ধারণা বদলে দিচ্ছেন এই তরুনদের দিয়ে। আজকের প্রধান অতিথি মাননীয় কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী দেশের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি আর মান দেশেই নিশ্চিত করছে- কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এই তরুনদের দিয়েই। কৃষিতে প্রযুক্তি বিপ্লব আজ।
আরো বক্তব্য রাখেন- যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মাহবুবুর রহমান হিরন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, আতাউর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক মহি উদ্দিন আহম্মেদ মহি, মঞ্জুরুল আলম শাহীন, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, আসাদুল হক আসাদ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, শ্যামল কুমার রায়, জাহাঙ্গীর আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য রওশন জামির রানা, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা মহানগর দক্ষিন সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট প্রমুখ।
যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন- যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাঃ বদিউল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, ঢাকা মহানগর উত্তর সাংগঠনিক সম্পাদক সিদ্দিক বিশ্বাস।