শুক্রবার থেকে রাজধানীতে শুরু হচ্ছে তিন দিনের পৌষ মেলা। উনিশ বছরের ধারাবাহিকতা ভেঙে এবার রমনার বটমূল থেকে মেলা চলে এসেছে বাংলা একাডেমি চত্বরে।মঙ্গলবার সকালে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে মেলার নানা প্রস্তুতি নিয়ে জানান হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, পৌষ মেলা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়, সহসভাপতি নাট্যব্যক্তিত্ব ঝুনা চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে গোলাম কুদ্দুছ বলেন, বাঙালির আত্মপরিচয়ের মূল ঠিকানা সম্পর্কে জানে না অনেক তরুণ। তারা ভুলতে বসেছে শেকড়ের কথা। দেশেও সংস্কৃতিচর্চাও ক্রমশ ¤্রয়িমাণ হয়ে পড়ছে। আমরা এ মেলার মাধ্যমে সংস্কৃতি চর্চাকে জাগিয়ে তুলতে চাই।সারা দেশে যখন সাম্প্রদায়িক চেতনা বিস্তৃত হয়েছে, তখন এ মেলাটি লোকজ সংস্কৃতিকে নতুন করে তরুণদের চেনাবে বলে মন্তব্য করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।

সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা জানান, বরাবরেই মতো মেলায় দেশজ পণ্যের সমাহার আর লোকজ সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করা হবে। গ্রামীণ জীবনের নানা অনুষঙ্গকে তুলে ধরে নাগরিক পটভূমিতে মূর্ত করা হবে আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে।শুক্রবার সকাল ৮টায় বাংলা একাডেমির নজরুল চত্বরে মেলার উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। আলোচনা পর্বে উপস্থিত থাকবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, পৌষ মেলা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সহসভাপতি নাট্যব্যক্তিত্ব ঝুনা চৌধুরী।মেলায় দিনভর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের পাশাপাশি থাকছে পিঠা-পুলির স্টল। বিচিত্র সাজের, বাহারি গন্ধের পিঠা-পুলি, নলেন গুড় আর খেজুর রসের শিরনি পায়েস রাঁধতে গ্রামবাংলা থেকে উঠে আসবেন কারিগররা।

প্রথম দিনের আসরে প্রথম পর্বে দলীয় সংগীত পরিবেশন করবে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, ধ্রুব, বহ্নিশিখা, স্ব-ভূমি লেখক শিল্পী কেন্দ্র। একক সংগীত পরিবেশন করবেন ফাহিম হোসেন চৌধুরী, প্রিয়াংকা গোপ, অনিমা মুক্তি গোমেজ, আবু বকর সিদ্দিক, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করবে স্পন্দন, নৃত্যজন, ভাবনা। একক আবৃত্তি করবেন আহকামউল্লাহ, তামান্না তিথি, দলীয় আবৃত্তি করবে মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বটি চলবে সকাল ১১টা অবধি।

দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে বিকেল ৪টা থেকে। সে পর্বে দলীয় সংগীত পরিবেশন করবে নিবেদন, ক্রান্তি, ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান সংগীত একাডেমি, আনন্দন। একক সংগীত পরিবেশন করবে ফকির আলমগীর, বুলবুল মহলানবীশ, মিনা বড়ুয়া, আকরামুল ইসলাম, অনিমা রায়, প্রমুখ। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করবে বহ্নিশিখা, বেণুকা, পল্লবী ড্যান্স সেন্টার। একক আবৃত্তি পরিবেশন করবে ইকবাল খোরশেদ, নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলী, ফখরুল ইসলাম তারা। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করবে প্রকাশ সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন।