গাজীপুরে কালীগঞ্জের শিমুলিয়া এলাকার রেললাইন থেকে শুক্রবার উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাকে হত্যা করে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে বলে স্বজনরা অভিযোগ করেছে। নিহতের নাম করিম বক্স (৫০)। তিনি লক্ষীপুরের রামগঞ্জ থানার সোনাপুর গ্রামের জিগির মিয়ার ছেলে। করিম বক্স বাংলাদেশ রেলওয়েতে কার্পেন্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শনিবার দাফনকৃত লাশটি নরসিংদী রেলওয়ে জংশনের পাশের গোরস্থানের কবর থেকে উত্তোলণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহতের ভাই হারুন অর রশিদ জানান, রেলওয়ের কাজে শুক্রবার কমলাপুর থেকে ট্রেনযোগে (সুরমা মেইল) চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন করিম বক্স। এরপর তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার খোঁজ না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কমলাপুর রেলওয়ে থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। গত শুক্রবার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে সড়কের গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার শিমুলিয়া এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত অজ্ঞাত ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সংবাদ পেয়ে স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ খবর নেন। এসময় তারা লাশের ছবি দেখে লাশটি করিম বক্সের বলে নিশ্চিত হয়। পরবর্তীতে নিহতের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে নরসিংদীর (সদর এসিল্যান্ড) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের উপস্থিতিতে নিহতের লাশ মঙ্গলবার কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
তিনি আরো জানান, আমাদের ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা করিম বক্সকে ট্রেনের ভেতর হত্যা করে বাহিরে ফেলে দিয়েছে। করিম বক্সের সহকর্মী রেলওয়ে শ্রমিক নেতা এম আর মঞ্জু জানান, করিম বক্স বাংলাদেশ রেলওয়েতে কার্পেন্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি দাবী করেন, দুর্বৃৃত্তরা ট্রেনের ভিতর তাকে হত্যা করে রেললাইনের পাশে ফেলে গেছে।
নরসিংদীর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নরসিংদীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সদর এসিল্যান্ড) মেহেদী হাসানের উপস্থিতিতে লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার শিমুলীয়া এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক ব্যাক্তির (৫০) মৃত্যু হয়। দুপুরে রেলওয়ে নরসিংদী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আনোয়ারুল ইসলাম লাশটি উদ্ধার করেন। ময়নাতদন্ত শেষে তাকে শনিবার নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের পাশের গোরস্থানে দাফন করা হয়।
মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর।