জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচন রসিকতা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন যেমন প্রহসনের ছিল,তেমনি জেলা পরিষদের নির্বাচনওআরেকটি লোক দেখানো প্রহসনের নির্বাচন হবে।মঙ্গলবার সকালে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর বিএনপি নেতা নজরুল এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন যেমন প্রহসনের ছিল, তেমনি জেলা পরিষদ নির্বাচনও আরেকটি লোক দেখানো প্রহসনের নির্বাচন ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি সরকারের রসিকতা বলে আমরা মনে করি। জোর করে যাদের নির্বাচিত করা হয়েছে, তাদের ভোটে জেলা পরিষদের নির্বাচন হবে। সেজন্যই বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা সদরে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সদস্য নির্বাচনে ভোট দেবেন স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা।
তিন পার্বত্য জেলা বাদ দিয়ে বুধবার ৬১টি জেলায় এই নির্বাচন হচ্ছে। তবে এর মধ্যে ২১ জেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া কুষ্টিয়ায় একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও আদালত সেই প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছে।জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির সভাপতি এমএ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক মুনির খানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানান নজরুল ইসলাম খান।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যায় নজরুল বলেন, বিগত উপজেলা-পৌরসভা-ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জোর করে ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে। আমরা উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় আশান্বিত ছিলাম। পরবর্তি ধাপগুলো জোর করে দখল করে নেওয়া হয়েছে। পৌর নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটেছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তো অনেক জায়গায় মনোনয়নপত্র দাখিলই করতে দেওয়া হয়নি।
এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে নিজেরাই অর্থ খরচ করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, স্বভাব খারাপ হলে যা হয় আর কি। বিএনপি অংশ নিচ্ছে না, তারপরও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নিজেরা নিজেরাই টাকা খরচ করছে।ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীদের অস্ত্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নিজেরা নিজেরা খুনাখুনি করছে, প্রকাশ্যে যখন এসব ঘটনা ঘটে তখন জনমতের কোনো প্রতিফলন থাকে না।
বিএনপি নেতা বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। নেওয়ার সুযোগও নেই। অথচ এই নির্বাচনেও তারা (আওয়ামী লীগ) নিজেরা নিজেরা টাকা খরচ করছে। স্বভাব খারাপ হলে যা হয় আরকি।বিএনপির এই নেতা বলেন, বিগত উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জোর করে ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে। আমরা উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় আশান্বিত ছিলাম। পরবর্তী ধাপগুলো জোর করে দখল করে নেওয়া হয়েছে। পৌর নির্বাচনেও তা-ই করেছে। ইউপি নির্বাচনে তো মনোনয়ন দাখিলই করতে দেওয়া হয়নি।নজরুল ইসলাম বলেন, জোর করে যাঁদের নির্বাচিত করা হয়েছে, তাঁদের ভোটে জেলা পরিষদের নির্বাচন হবে। তাই তাঁদের এই নির্বাচন রসিকতা।