এক ঐতিহাসিক সফরে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে গিয়েছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার হাওয়াইতে বেশ কয়েকটি স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে হনলুলুর কাছে নির্মিত ন্যাশনাল মেমোরিয়াল সিমেট্রি অব দ্য প্যাসিফিকে একগুচ্ছ সাদা ফুল রেখে বেশ কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। মেমোরিয়ালের শোক বইতে স্বাক্ষর করেন।

মঙ্গলবার হাওয়াইয়ের ঐতিহাসিক পার্ল হারবার পরিদর্শনে যাবেন তিনি। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও তার সঙ্গে থাকবেন।১৯৪১ সালে এই পার্ল হারবারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌঘাঁটিতে একদিনে স্মরণকালের বৃহত্তম বিমান হামলা চালিয়েছিল জাপান। ওই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর দুই হাজার ৩০০ কর্মী নিহত ও ঘাঁটিতে থাকা আটটি যুদ্ধজাহাজের সবগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এর মধ্যে চারটি ডুবে যায়।যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীগুলো তখন সাগরে থাকায় সেগুলো রক্ষা পায়। জাপানের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দেয়।ওই হামলার পর থেকে এই প্রথম দুটি দেশের দুই নেতা একত্রে পার্ল হারবার পরিদর্শনে যাচ্ছেন।

১৯৫১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করতে স্যান ফ্রান্সিসকো যাওয়ার পথে ও ফেরার সময় প্রথম জাপানি নেতা হিসেবে পার্ল হারবার পরিদর্শন করেছিলেন শিগেরু ইয়োশিদা।আবের সফর সঙ্গীরা জানিয়েছেন, পার্ল হারবারে নিহতদের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করবেন আবে, তবে হামলার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন না। এখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ওবামার সঙ্গে এক শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হবেন তিনি। জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামার মেয়াদ শেষের আগে দুনেতার এটি শেষ বৈঠক।পার্ল হারাবার হামলার ৭৫তম বার্ষিকীর তিন সপ্তাহ পর আবে সেখানে গেলেন। এর আগে চলতি বছরের প্রথমদিকে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামা জাপানের হিরোশিমা পরিদর্শন করেছিলেন।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে হিরোশিমায় বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওই একটি বোমায় শহরটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় এবং প্রায় দেড় লাখ বাসিন্দা নিহত হন।