লালমনিরহাট বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনে ভারতে গমনাগমন আর ফিরতি যাত্রী হয়রানী করাসহ ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে বুড়িমারী স্থলবন্দর গিয়ে জানা যায় ভারতে গমনাগমন ও ফিরতি যাত্রীদের ভিন্ন স্টাইলে হয়রানী করা হয়। এসআই আনোয়ার হোসেন ইমিগ্রেশন ওসি হিসাবে যোগদানের পর গত তিনমাসে যাত্রীপ্রতি ৫০০ টাকা করে ভ্রমন কর নিয়মিত আদায় হচ্ছে। শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধের দিন ভ্রমন কর লুটপাঠ করে খাওয়ার সত্যতা মিলেছে।

বুড়িমারী জনতা ও সোনালী ব্যাংকে গিয়ে জানা যায়, ২-৪ জন যাত্রী নিজ এলাকার ব্যাংকে ভ্রমন কর জমা দিয়ে রশিদ নিয়ে আসেন। সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মোসলেম উদ্দিন জানান, ১৪ ডিসেম্বর/১৬ পর্যন্ত সপ্তাহে ৫দিন করে গত তিন মাসে ভ্রমন কর জমা হয়েছে প্রতিদিন প্রায় ৭০-৭৫ হাজার টাকা। জনতা ব্যাংক ম্যানেজার মোতাহার জানান, ২০১৬ সালে জানু-জুন ২০ লাখ টাকা এবং জুলাই-১৪ডিসে পর্যন্ত ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা হয়েছে। যাত্রী সংখ্যা ১০,৭০০ জন। ২০১৫ সালে যাত্রীদের ভ্রমন কর আদায় ৩২ লাখ টাকা। এখানে সকল যাত্রীদের কাছে কুলি বাবদ ৫০-১০০ টাকা, বকশিশ বাবদ যাওয়ার সময় ৩০০ টাকা এবং ফেরার সময় ২০০ টাকা, ছোট লাগেজ ২০০ টাকা, চেকিং ছাড়া বড় লাগেজ বাবদ ৫০০ থেকে ৫০০০ পর্যন্ত নেওয়া হয়।

অন্যান্য স্থলবন্দরের চেয়ে বিশাল সম্ভাবনাময় বুড়িমারী স্থলবন্দর। অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে বাংলাবান্দায় ইমিগ্রেশন হওয়ায় এখানে যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। এরপরও বন্ধ হয়নি অনিয়ম দূর্নীতি। ইমিগ্রেশন দিয়ে যাতায়াতকারী কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ভারতে যাওয়ার সময় পাসপোর্ট প্রতি ২০০/৩০০ টাকা করে দালালদের দিতে হয়। সাথে ডলার ইন্ডোজ না থেকে নগদ টাকা থাকলে তার ১০% টাকা দিতে হবে অথবা বুড়িমারী কাউন্টারের ক্যাশ জমা দিয়ে ভারতের চ্যাংড়া বান্দা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনে কাউন্টারে টাকা নিতে হলে বাটা সিস্টেম দিতে হবে। যাবার সময় বাংলার ১০০ টাকা ভারতে ৮০ রুপি। আসার সময় ১০০ টাকায় ৭০-৭৫ রুপিতে নিতে হয়। এছাড়াও ভারতে বাংলাদেশী যাত্রী প্রতি ১০০ টাকা কাস্টম নিয়ে থাকে।
সুত্র মতে, সপ্তাহে লাখ টাকা ভ্রমন কর লুট করেন কাস্টমসের কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারী ও স্থানীয় সিন্ডিকেট।

লালমনিরহাট প্রতিনিধি