লালমনিরহাটে ২২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানবেতর জীবন যাপন। বিদ্যালয় গেজেট ভূক্ত হলেও শিক্ষক গেজেট ভূক্ত কবে হবে এ নিয়ে শংকিত কর্মরত শিক্ষকরা। জানা গেছে লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ৬, আদিতমারী ১, কালীগঞ্জে ৯, হাতীবান্ধায় ৪ ও পাটগ্রাম উপজেলায় ২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গত ১৯ ফ্রেরুয়ারী ২০১৫ইং তারিখে “গ” গ্রুপের আওতায় জেলার ৫ উপজেলায় ২২টি বিদ্যালয়ের গেজেট প্রকাশ করা হলেও কর্মরত শিক্ষকদের গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বেতন/ভাতা না পেয়ে এসব বিদ্যালয়ের ৮৮জন শিক্ষক/শিক্ষিকা কেউ ২০ বছর আবার কেউ ১৫ বছর ধরে বেতন বিহীন কোমলমতি শিশু কিশোরদের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন।

তবে বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার শিক্ষকদের ভাগ্যের উন্নয়নের লক্ষে বাংলাদেশের সমস্ত বেসরকারী রেজিষ্ট্ররী প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোকে সরকারী করন করেছেন। কিন্তু “গ” গ্রুপের আওতায় সারা দেশে কয়েক হাজার শিক্ষক/শিক্ষিকার গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। লালমনিরহাট সদর উপজেলার দক্ষিন খোর্দ্দসাপটানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফুজ্জামান (আমিনুর), সহকারী শিক্ষক মোঃ বাহার উদ্দিন ও মোছাঃ নাশিদা বেগম জানান ১৯৯১ সাল থেকে একাধারে বিনা বেতনে পাঠদান চালিয়ে আসলেও এখন ও বেতনের মুখ দেখলাম না। চোখে মুখে শুধু হতাশার বানী, কে দিবে তার ভাগ্যের দরজা খুলে। একই কথা জানালেন ভোক্তভোগী অন্য শিক্ষকরাও।এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নবেজ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার পর্যায়ক্রমে সকল সমস্যা সমাধান করবেন।

মোঃ ইউনুস আলী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি