প্রতিদ্বন্দ্বী লিয়নেল মেসিকে হটিয়ে আবারো বিশে^র সেরা ফুটবলারের খেতাব ব্যালন ডি’অর জিতে নিয়েছেন পর্তুগীজ ও রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এই নিয়ে চতুর্থবারের মত ব্যালন ডি’অর জয়ের কৃতিত্ব দেখালেন সিআর সেভেন।গত তিন মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মত রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লীগের শিরোপা, পর্তুগালকে প্রথমবারের মত ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা উপহার দেয়া- এসবই রোনালদোকে এবারের ব্যালন ডি’অর জয়ে মেসির তুলনায় বেশ খানিকটা এগিয়ে রেখেছিল, বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। প্রায় এক যুগ পেশাদার সার্কিটে ফুটবল খেলার পরে ৩১ বছর বয়সেও রোনালদো ও মেসিই এখন পর্যন্ত বিশ^ ফুটবলের শীর্ষ সারির দুই ফুটবলারের নাম। কিন্তু বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার হয়ে গত বছরটা নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি গোল যাদুকর মেসি। ফ্রান্স ফুটবলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই তাই কিছু কিছু গণমাধ্যমে ব্যালন ডি’অর বিজয়ী হিসেবে রোনালদোর নাম প্রকাশ করে, যা নিয়ে বিশ^ব্যাপী বেশ সমালোচনাই হয়েছে।

শিষ্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জিনেদিন জিদান বলেছেন, ‘আমার কাছে এখানে বিতর্কের কিছু নেই। ব্যালন এখন রোনালদোর কাছে, এটাই বাস্তবতা। গত মৌসুমে সে নিজেকে প্রমাণ করেছে এবং বারবার প্রমাণ করে চলেছে। আমরা তার কাছ থেকে আরো বেশি কিছু আশা করি। কিন্তু সে নিজেকেও মাঝে মাঝে ছাড়িয়ে যায়।কর ফাঁকি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাকে নিয়ে সমালোচনা ঝড় উঠলেও গত বৃহস্পতিবার রিয়াল তারকা তার আয়ের ২২৭ মিলিয়ন ইউরোর আর্থিক বিবরণী জনসমুক্ষে প্রকাশ করেছেন যা একজন ফুটবলার হিসেবে একটি রেকর্ডও বটে।ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ২০০৮ সালে প্রিমিয়ার লীগ ও চ্যাম্পিয়নস লীগে শিরোপা জয়ের পরে ২০০৮ সালে প্রথম ব্যালন ডি’অর জয় করেছিলেন রোনালদো। কিন্তু এরপর ২০১৩ সালে দ্বিতীয়বারের মত তিনি এই পুরস্কার জয় করেন। মাঝের সময়টা একচেটিয়া প্রাধান্য বিস্তার করেছেন মেসি। পরের বছর রোনালদো আবারো ব্যালন জয়ের পরে গত বছর মেসির কাছে আবারো তা হারিয়ে বসেন। ১৯৫৬ সালে আলফ্রেডো ডি স্টিফানোকে হারিয়ে ব্ল্যাকপুলের হয়ে স্ট্যানলি ম্যাথুস প্রথম ব্যালন ডি’অর শিরোপা জয় করেছিলেন।ছয় বছর ফিফার সাথে যৌথভাবে বিশে^র সেরা ফুটবলারের পুরস্কার দেবার পরে এবার আবারো ফ্রেঞ্চ ফুটবল ফিফার কাছ থেকে আলাদা হয়ে ব্যালন ডি’অর প্রদান করলো। আগামী ৯ জানুয়ারি ফিফা তাদের বিচারে বর্ষসেরা ফুটবলারের নাম ঘোষনা করবে। ১৭৩টি দেশের সাংবাদিক ও জাতীয় দলের অধিনায়ক ও ম্যানেজারদের ভোটে ব্যালন ডি’অর এর জন্য খেলোয়াড় মনোনীত হয়ে থাকে।