ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ইংরেজি মাধ্যম থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা প্রশ্নপত্রে কেন পরীক্ষা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রবিবার এক অভিভাবকের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, শিক্ষাসচিব, স্বাস্থ্যসচিব,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য,ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, মেডিক্যাল এডুকেশনের পরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী অভিভাবক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আতিকুর রহমান এবং ব্যারিস্টার রেজা মো. সাদেকীন।

পরে রেজা মো. সাদেকীন জানান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনে ফলাফলে ক্ষেত্রে ইংরেজি মাধ্যম ও বাংলা মাধ্যমে উত্তীর্ণ শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে। তা ছাড়া প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়েই বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের জন্য করা হয়। ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তাদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। এই যুক্তিতে আমরা রবিবার রিটটি দায়ের করেছি। আজই আদালত শুনানি অন্তে এই রুল জারি করেন।পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগের ক্ষেত্রে কেন তাদের (‘এ’ লেভেল, ‘ও’ লেভেল পাস শিক্ষার্থী) সমান অধিকার দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

অভিভাবক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম আতিকুর রহমানের একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, মেডিকেল এডুকেশনের পরিচালককে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রেজা মো. সাদেকীন। সরকার পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।

পরে রিটকারীর আইনজীবী মো. সাদেকীন বলেন, বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পদার্থ, রসায়ন, গণিতে ও বাংলা-ইংরেজিতে ৫ পয়েন্ট করে মোট ২৫ পয়েন্টের মধ্যে ২৪ পয়েন্ট পেলেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে।কিন্তু ইংরেজি মাধ্যম থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের বেলায় এ তিন বিষয়ে সর্বোচ্চ এ গ্রেড চাওয়া হয়। এর ফলে ইংরেজি মাধ্যম থেকে পাস করা অনেক শিক্ষার্থীই বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনই করতে পারে না। এটা এক ধরনের বৈষম্য।তাছাড়া ঢাকা মেডিকেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাংলায় করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এতে ইংরেজি মাধ্যম থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমরা মনে করি বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতে প্রশ্নপত্র থাকা উচিৎ।