প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি এবং কবি ও লেখক মাহবুবুল হক শাকিলের মরদেহের ময়নাতদন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে শেষ হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। হৃদপিণ্ড স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড়। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে ভিসেরা সংরক্ষণ করা হয়েছে। ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে সিআইডির রাসায়নিক ল্যাবে।

ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাকিলের মৃত্যুর কারণ জানতে কয়েকদিন সময় লাগবে জানান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ভিসেরা পরীক্ষার পর ময়নাতদন্তের রিপোর্টসহ পাপ্ত সব তথ্য পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত মতামত প্রকাশ করা হবে। শাকিলের হৃদপিণ্ডের আকার বড় হওয়া প্রসঙ্গে ঢামেকের এই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ বলেন, হৃদপিণ্ডের আকার বিভিন্ন কারণে বড় হতে পারে। সব পরীক্ষার পর মূল কারণ জানা যাবে।
বুধবার সকাল ৭.৫০ টায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতাল থেকে একটি ফ্রিজারভ্যানে শাকিলের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়। এরপর সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঢামেক মর্গে তার ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়। শাকিলের ময়নাতদন্তের জন্য তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় বলে জানায় হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ।

মাহবুবুল হক শাকিলের মৃত্যুতে গুলশান থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে ওই হোটেলের ম্যানেজারসহ সন্দেহভাজন ৭ জনকে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে মাহবুবুল হক শাকিলকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার বয়স হয়েছিল ৪৮। তিনি স্ত্রী, এক কন্যা, মা-বাবা এবং এক ভাই ছাড়াও রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক অনুসারী এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতির অঙ্গনে অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শাকিলের প্রথম নামাজে জানাযা হবে বুধবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে। এরপর তাকে নেয়া হবে ময়মনসিংহ শহরে তার বাড়িতে। সেখানে সন্ধ্যায় জানাযার পর তাকে দাফন করা হবে।