%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8b%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a7%8c%e0%a6%a7%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%93%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%b2%e0%a6%be

সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুলের আপিলের রায় জানা যাবে বুধবার।প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ আপিলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য কর মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।জঙ্গি মুফতি হান্নানের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখার আর্জি জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি পেশ করেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।২০০৫ সালের ২১ মে সিলেটে আনোয়ার চৌধুরীর উপর গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় পুলিশসহ ৩ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়।এই ঘটনায় আনা মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত মুফতি হান্নানসহ ৩ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিলে হাইকোর্টের দন্ড বহাল রাখার বিরুদ্ধে আপিল করে মুফতি হান্নান।গত ৩০ নভেম্বর আপিলের উপর শুনানি শুরু হয়েছিল।

মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ওই দুই জঙ্গির আপিল শুনানি করে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বিভাগ রায়ের এই দিন ঠিক করে দেয়।এই বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।এর আগে গত ৩০ নভেম্বর প্রথম দিনের শুনানি শেষে ৬ ডিসেম্বর পরবর্তী তারিখ রেখেছিল আপিল বিভাগ। আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে ২০০৪ সালের ২১ মে ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরী গ্রেনেড হামলার মুখে পড়েন।এতে ঘটনাস্থলেই পুলিশের এএসআই কামাল উদ্দিন নিহত হন। এছাড়া পুলিশ কনস্টেবল রুবেল আহমেদ ও হাবিল মিয়া নামের আরেক ব্যক্তি মারা যান হাসপাতালে।আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অন্তত ৪০ জন ওই ঘটনায় আহত হন।

পুলিশ ওইদিনই সিলেট কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে। তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৭ জুন হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, তার ভাই মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ ওরফে অভি, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার ওরফে রিপনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।যথাযথ ঠিকানা না থাকায় মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ ওরফে খাজার নাম প্রথমে বাদ দেওয়া হলেও পরে তাকে যুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ওই বছর নভেম্বরে হয় অভিযোগ গঠন।

৫৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সামীম মো. আফজাল রায় ঘোষণা করেন।আসামিদের মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদ- এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের (মুত্যুদ- অনুমোদনের আবেদন) শুনানি শেষে চলতি বছর ১১ ফেব্র“য়ারি রায় দেয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ।তাতে আসামিদের আপিল খারিজ হয়ে যায়, মুফতি হান্নানসহ তিন আসামির মৃত্যুদন্ড এবং দুইজনের যাবজ্জীবন দন্ড বহাল থাকে।কারাগারে থাকা পাঁচ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান ও বিপুল হাই কোর্টের রায়ের প্রত্যায়িত অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর গত ১৪ জুলাই আপিল করেন।আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী সেদিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন,যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত মহিবুল্লাহ এবং মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দাল আপিল করবেন না বলে তিনি জানতে পেরেছেন।