আমার আপনাদের ট্যাক্্েরর টাকার বিনিময়ে পুলিশের কেনা বুট লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হল কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ (৫০) ও পথচারী ছফর আলী (৫৫) কে ভাবতে অবাক লাগে বলে অঝোর কাঁদলেন বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আব্দুল মান্নান আকন্দ। শোকসভায় আগত অতিথিরা গুমরে কেঁদে উঠলেন ভারী হয়ে গেল কলেজের পুরো মিলনায়তন। তিনি কেঁদে বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন অন্যায় প্রশ্রয় দেন না। তিনি সত্যবাদী একজন মানুষ। কলেজ সরকারী করণে গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আপনারা ধৈর্য্য হারাবেন না। এ কলেজ সরকারী হবেই।
ফুলবাড়ীয়া ডিগ্রী কলেজ সরকারী করণ আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ ও বুটের আঘাতে নিহত সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ও পথচারী ছফর আলীর শোকসভা শনিবার বিকলে কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ঐ শোকসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু কৃষি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আব্দুল মান্নান আকন্দ। তিনি বলেন, কলেজ সরকারীকরণ আন্দোলন করতে গিয়ে শিক্ষকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ স্মৃতিকে রক্ষার জন্য মুজিব কন্যা, সততা ও ন্যায়ের প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলেজটিকে সরকারী করণ করবেন। তিনি বলেন, সেই সাথে কলেজ সরকারী করণ আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠিপেটা যারা শহীদ হয়েছেন তাদের বিচার, যাদেরকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করে হয়রানী করা হয়েছে তাদের বিচার সর্বোপরি যাদের কারনে এ ঘটনা ঘটেছে তাদে বিচার অব্যশ্যই প্রধানমন্ত্রী করবেন।
শোকসভায় নিহত শিক্ষকের মেয়ে সামিয়া আজাদ সূচী বলেন, আমার পিতাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করেছে। আমরা বিচার চাইতে পারিনা পুলিশের ভয়ে। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সূচী বলেন, আমার বিধবা মা আমরা ৩ ভাই বোন আপনার সাথে দেখা করে আমার পিতা নিরীহ কলেজ শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের হত্যার বিচার চাই।
শোকসভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলহাজ আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবি সিদ্দিক, মুক্তিযোদ্ধা এম জব্বার, জাপা সভাপতি নাজমুল হক সরকার, সরকারীকরণ আন্দোলন ও বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক সহকারী অধ্যাপক এস এম আবুল হাসেম প্রমূখ।