%e0%a6%a2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%9c%e0%a6%9f-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a6%9f

ঢাকার যানজট নিরসনে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর রুটে দেশের প্রথম বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) নির্মাণে চীনের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।চীনের গেজহুবা গ্র“প ৮৫৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকায় ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্েযর এ প্রকল্পের জন্য ১৬ কিলোমিটার বিআরটি লেইন, ৩২ কিলোমিটার ফুটপাত ও ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা লেইন নির্মাণ করে দেবে।আগামী ৩০ মাসের মধ্যে এ নির্মাণ কাজ শেষে উভয় দিক থেকে ঘণ্টায় ২৫ হাজার যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে বলে আশা করছে সরকার।বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি হোটেলে গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক একরাম উল¬াহ ও গেজহুবা গ্র“পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াং রোমেন এ চুক্তিতে সই করেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকও উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠান।প্রকল্প পরিচালক একরাম উল্লাহ অনুষ্ঠানে বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য হবে ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার। এর মধ্যে উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার এলিভেটেড বিআরটি লেইন থাকবে। বাকি ১৬ কিলোমিটার থাকবে সমতলে। নির্মাণ করা হবে ছয়টি ফ্লাইওভার।

দুই প্রান্ত গাজীপুর ও বিমানবন্দরে থাকবে দুটি টার্মিনাল, আর মাঝের পথে হবে ২৫টি স্টেশন।প্রতি দুই থেকে ৫ মিনিট পরপর স্টেশন থেকে বাস ছাড়বে। এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৫০ মিনিট।১৮ মিটার দৈর্ঘের ১০০টি আর্টিকুলেটেড বাস চলাচল করবে এ পথে। বাস ভাড়া আদায় হবে ইলেক্ট্রনিক স্মার্ট কার্ডে।গাজীপুর থেকে শাহজালাল বিমানবন্দর পর্যন্ত বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট চালু হলে টঙ্গী ও উত্তরার সঙ্গে ঢাকা মহানগরীর যাতায়াত সহজতর হবে এবং এর মধ্য দিয়ে দ্রুত ও সাশ্রয়ীভাবে যাত্রী পারাপারের পাশাপাশি আরামদায়ক সেবা নিশ্চিত করা যাবে বলে প্রত্যাশা করছে সরকার।মূল নির্মাণের পাশাপাশি কিছু সড়ক প্রশস্তকরণ, সার্ভিস সড়ক ও গাজীপুরে তিন কিলোমিটার ড্রেনেজ নির্মাণ, আট লেইনের টঙ্গী সেতু ও ফ্লাইওভার নির্মাণের খরচ মিলিয়ে এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা। সরকারের পাশাপাশি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ফরাসি দাতা সংস্থা (এএফডি) ও গে¬াবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ) এতে অর্থায়ন করছে।