gazipur-pic-2

গাজীপুর শহরের শহীদ ক্যাডেট একাডেমীর চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে জড়িত শিক্ষককের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে পালানোর সহযোগিতা করায় ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতের নাম শহিদুল ইসলাম।

বিদ্যালয়টির আবাসিক শিক্ষার্থী ও ভুক্তভোগী ছাত্রের পরিবার জানায়, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার এক প্রবাসীর ছেলেকে গত বছর তাঁর আত্মীয়ের মাধ্যমে গাজীপুর শহীদ ক্যাডেট একাডেমিতে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পরে তাকে বিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনে রাখা হয়। গত ২২ নবেম্বর দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আবাসিকের এক শিক্ষক শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করেন। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে ভবনে থাকা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এসে তাকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে পিটুনি দেয়। পরদিন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষার্থীকে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য নানা ভয়ভীতি দেখায়। গত শনিবার ভুক্তভোগী শিশু কাউকে কিছু না বলে বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে সে তার মাকে ঘটনাটি জানায়। পরে অসুস্থ্য ওই শিক্ষার্থীকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার শিকার শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক।

জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা জানান, জড়িত শিক্ষককের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে পালিয়ে যাওয়ার সহায়তার অভিযোগে বুধবার রাতে ওই একাডেমীর পরিচালক মো. শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে ওই শিক্ষক ও পরিচালকের নাম উল্লেখ করে বলৎকারের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা প্রণয় ভূষণ এ ব্যাপারে বলেন, শিশুটিকে যৌন নির্যাতনের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাবে।

এদিকে গ্রেপ্তারের আগে একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শহিদুল ইসলাম জানান, ওই ছাত্রের এক আত্মীয়ের কাছে পাওনা দেড় লাখ টাকা পরিশোধের জন্য তাগাদা দিলে তা পরিশোধ না করে তিনি আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করার জন্যই ওই চক্রান্ত করেন।
###
মোস্তাফিজুর রহমান টিটু
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর।