%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa

কেউ যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পোড়ালে শাস্তি হিসেবে তাঁর এক বছরের জেল বা নাগরিকত্ব বাতিলের প্রস্তাব করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিষয়টি সংবিধানের সংশোধনীর মাধ্যমে করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।বুধবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার এক টুইটার বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প এ প্রস্তাব করেন।টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পোড়ানো বরদাশত করা উচিত হবে না। যদি কেউ পতাকা পোড়ায়, তাহলে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। শাস্তি হিসেবে তার এক বছরের জেল বা তার নাগরিকত্বও বাতিল হতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৮৯ ও ৯০ সালে সুপ্রিম কোর্ট রুলে পতাকা অবমাননার অনুমোদন দিয়ে বলেন, এটা মুক্ত মতপ্রকাশের অধিকারকে রক্ষা করে। সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে তা উল্লেখ করা হয়েছে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-পরবর্তী ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে পতাকা পোড়ান আন্দোলনকারীরা। শুধু তা-ই নয়, ১০ নভেম্বর থেকে ম্যাসাচুসেটসের হ্যাম্পশায়ার কলেজ তাদের ক্যাম্পাসে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা ওড়ানো বন্ধ করে দেয়। এরপরই এই প্রস্তাবের কথা জানালেন ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ প্রস্তাব প্রসঙ্গে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস ল স্কুলের অধ্যাপক স্টিভ ভ­াদেক বলেন, পতাকা পোড়ানোর শাস্তি হিসেবে ট্রাম্পের নাগরিকত্ব বাতিলের প্রস্তাব সফল হবে না। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছেন, পতাকা পোড়ানো মুক্ত মতপ্রকাশের অধিকারকে রক্ষা করে। এটা সাংবিধানিক। এখন যদি তা না করা হয়, তাহলে তা অসাংবিধানিক হয়ে যাবে। কিছু মানুষকে মুক্ত মতপ্রকাশ থেকে বঞ্চিত করা হবে।

এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্পের মুখপাত্র জেসন মিলার বলেন, পতাকা পোড়ানো অবৈধ হওয়া উচিত।