%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%a6-%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a6%a8

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ফ্লাইটের জরুরি অবতরণের ঘটনায় বিমানের নিজস্ব তদন্ত কমিটি বুধবার দুপুরে রিপোর্ট দেবে। বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, রিপোর্ট হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রোববার হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণ অনুসন্ধান করছে আলাদা তিনটি তদন্ত কমিটি। সোমবার বিমান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার আগেই দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।

আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন শেষ করে বুধবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তার আগেই তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ বিমানের কারিগরি প্রধান ক্যাপ্টেন বাশারকে প্রধান করে গঠিত বিমানের তদন্ত কমিটি।

বেসামরিক বিমান পরিবহর ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন,‘বিমান, সিভিল এভিয়েশন এবং মন্ত্রণালয়, এই তিনটি কমিটি কাজ করছে। এর বাইরে বিভিন্ন সিকিউরিটি এজেন্সিগুলোও তাদের নিজেদের মতো তদন্ত করছে। যেহেতু ফ্লাইট অপারেটিং এর দায়িত্ব বিমানের সেহেতু তাদের কাছ থেকেই প্রথমে জানতে হবে কোথায় ঝামেলা। তারা আগামীকাল দুপুরের মধ্যে রিপোর্ট করবে বলে আমাকে জানিয়েছে।’

ভিভিআইপি ফ্লাইট আকাশে ওড়ার আগে শতভাগ উড্ডয়ন উপযোগী কিনা তার ছাড়পত্র দেয় বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এয়ারক্রাফটটির সবকিছু পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেয় তারা। এ বিষয়ে মন্ত্রী জানান, ‘গোটা বিষয়টির দায়িত্ব ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অন্তর্গত। এখানে অনেকগুলো অংশ। এখন কোনটা দোষী সেটা এখন বলা মুশকিল।’ স্পর্শকাতর এই ফ্লাইটটি কেন ওড়ার ছাড়পত্র পেয়েছিলো তা নিয়ে বিমানের প্রকৌশল এবং ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক আসাদুজ্জামানকে গত সোমবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তোপের মুখে পড়তে হয়।

গত রোববার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাতে জরুরি অবতরণ করে। কয়েকঘণ্টা পরে ত্রুটি সারিয়ে বিমানটি হাঙ্গেরির পথে রওনা দেয়। আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ওইদিন সকালে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে (বিজি১০১১) হাঙ্গেরির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই ফ্লাইটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী, পানিসম্পদমন্ত্রীসহ ৯৯ জন আরোহী এবং ২৯ জন ক্রু ছিলেন।