%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%b6-%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%8f%e0%a6%b8%e0%a6%aa%e0%a6%bf-%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%8f%e0%a6%ae-%e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%9c

পুলিশ সুপার (এসপি) টি এম মোজাহিদুল ইসলাম‘ডাকাত হাতেনাতে পেলে পিষে মেরে ফেলুন’ বলে দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে জানাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৪ ডিসেম্বর তাঁকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। তিনি নিজে বা আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিবেদন দিতে পারবেন।সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে রোববার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন।২৬ নভেম্বর ‘ডাকাত হাতেনাতে ফেলে পিষে মেরে ফেলুন’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়।

এটি নজরে এলে আদালত রুল দেন। রুলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবিধানবহির্ভূতভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়াসহ ওই এলাকার জনগণকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া, তথা সেই অঞ্চলের জনগণকে আইন স্বহস্তে নিয়ে বিচারবহির্ভূতভাবে অপরাধীকে মৃত্যু প্রদানে উসকানি দেওয়ায় কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে পুলিশপ্রধান ও এসপিকে পৃথকভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল চত্বরে ২৫ নভেম্বর চক্ষুশিবিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার (এসপি) টি এম মোজাহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর আসনের সাংসদ আবদুল ওদুদ। এসপি টি এম মোজাহিদুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘ডাকাত যদি হাতেনাতে পান, তো জলজ্যান্ত ওটাকে পিষে মেরে ফেলেন। একটা মার্ডার কেস নেব, এটা সত্য কথা এবং এক মাসের মধ্যে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে চলে আসব। গ্যারান্টি আমার। আমি যদি গ্যারান্টার হই, তবে আপনাদের কোনো ভয় আছে? যদি ডাকাত হাতেনাতে ধরতে পারেন, এলাকার লোকজনকে মাইকে ডেকে এনে ওকে পিষে মেরে ফেলেন। মাদকের গাড়ি হলে সেটি আগুনে পুড়িয়ে দেবেন। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, আপনাদের নামে কোনো মামলা হবে না। এই গ্যারান্টি আমার।