ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, অবৈধ ভিওআইপি বন্ধে জোরদার অভিযান চলছে, চলবে। এ ক্ষেত্রে ইমো, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ হচ্ছে না।ইমো, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিটিআরসি’র বক্তব্যের বিষয়ে রোববার এ কথা বলেন তিনি।তারানা হালিম বলেন, বন্ধ হতে হবে ইলিগ্যাল ভিওআইপি। এক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান হলো জিরো টলারেন্স।ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ভাইবার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি অ্যাপসের মাধ্যমে ভয়েস কলে সরকারের বিধি-নিষেধ আরোপের কোন পরিকল্পনা নেই।
মন্ত্রণালয়ে তার অফিসে বাসসের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, অবৈধ ভিওআইপি বন্ধে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, তবে যোগাযোগ অ্যাপসের মাধ্যমে ফ্রি কলিংয়ে বিধি নিষেধের কোন পরিকল্পনা নেই।ভিওআইপি’র মাধ্যমে অবৈধ কল বন্ধে তার মন্ত্রণালয়ের নিরলস প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আমাদের ‘জিরো টলারেন্স’ অব্যাহত থাকবে।কিছু মিডিয়ায় বলা হয়েছে, ওটিটি অ্যাপস নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবং এ ধরনের ধারণার বিষয় স্পষ্ট করতে তিনি একথা বলেন।এরআগে শুক্রবার বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান বলেছেন, তারা ওটিটি (ওভার-দি-টপ) অথবা আন্তর্জাতিক বৈধ কল কমাতে অবদান রাখা ফ্রি কলিং অ্যাপস হিসেবে যোগাযোগ অ্যাপস ব্যবহারের গাইডলাইন তৈরি করবে।তবে কতিপয় মিডিয়া সুনির্দিষ্টভাবে রিপোর্ট করেছে যে, কমিউনিকেশন অ্যাপস-ভাইবার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ পুনরায় বন্ধ হতে যাচ্ছে।বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, কেবলমাত্র ভিওআইপি’র অবৈধ কলের কারণেই নয়, ওটিটি অ্যাপসের ব্যবহারের কারণে ও বৈধ চ্যানেলে আন্তর্জাতিক কল কমছে।বিটিআরসি জানায়, বর্তমানে দেশে দৈনিক ৭০-৮০ মিলিয়ন মিনিট আন্তর্জাতিক কল আসছে। কল সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায় ২০১৪ সালের শেষের দিকে।কল হার ৩ সেন্ট থেকে কমে ১.৫ সেন্ট হওয়ায় কলের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১২৩ মিলিয়ন মিনিট। তবে কলরেট বেড়ে ২ সেন্ট হওয়ায় কলের পরিমাণ বেড়ে যায়।