গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় পাটগাতী ইউনিয়নে দু’টি পক্ষের বিরাজমান দ্বন্দ্বের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে এলাকার পরিবেশ ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে। দু’পক্ষের কোন্দল, মারামারি, হামলা, ঘরবাড়ি ভাংচুর, মামলা, ইত্যাদি লেগেই আছে। সাধারণ মানুষও আতংকিত হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে টুঙ্গীপাড়া থানা-পুলিশও বিরক্ত ও উদ্বিঘœ।
বৃহষ্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে ৫০-৬০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পাঁচ কাহনিয়া গ্রামের নূরু মিয়া মুন্সীর বাড়িতে হামলা চালায় এবং তিনটি বসতঘর কুপিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। হামলায় পুরুষ ও নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় কয়েকজন। ঘটনায় টুঙ্গীপাড়া থানায় দু’পক্ষের পৃথক দু’টি মামলাও হয়েছে। নূরু মিয়া মুন্সীর ভাই ফরিদ মুন্সীসহ পরিবার ও স্বজনরা অভিযোগ করে বলেছেন, মূলত: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচণে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আব্দুল হালিমের ছেলে ইউপি-সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে যারা তাকে ভোট দেয়নি তাদের উপর এসব তান্ডব চালাচ্ছে। বাড়ির মহিলারাও রাস্তায় নিরাপদে চলতে পারছে না। যে কোন সময় প্রাণহানিসহ বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ওদিকে, শেখ আব্দুল হালিম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, ফরিদ মুন্সীর লোকজন অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির লোক। তাদের বাড়ির সামনে রাস্তায় কাউকে পেলেই তারা মারধর শুরু করে। তিনি আরও জানান, আমার ও আমার ছেলের অবস্থান নষ্ট করতে একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা নিজেরা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে।
এব্যাপারে টুঙ্গীপাড়া থানার ওসি মাহমুদুল হক সাংবাদিকদেরকে বলেছেন, ওই এলাকার এসব বিষয় নিয়ে আমরা ভীষণ বিরক্ত। দু’পক্ষের কেউ-ই ভাল না। ক’দিন পরপরই তারা এধরণের অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করে। একারণে এবার দু’পক্ষের কাছ থেকেই মামলা নেয়া হয়েছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।